"বিকেলবেলায় পথ-চলতি লােকের ভিড়ে মিশে যাই”—মিশে গিয়ে লেখক কী দেখেন?
লেখক যা দেখেন: 'কলের কলকাতা' রচনার লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় গ্রামবাংলায় শৈশব কাটিয়ে এসে প্রথমে কলকাতাকে আপন করে নিতে পারেননি। তারপর নিজের অজান্তেই কলকাতা তার আপন হয়ে ওঠে। আকাশের দিকে লেখক তখন আর শিশুসুলভ বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন না। কখনাে-সখনাে কুমড়াের ফালির মতাে এক খণ্ড আকাশের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় বিকেলের ট্রামরাস্তায়। এভাবেই হাঁটতে হাঁটতে তিনি মিশে যান পথচলতি মানুষদের সঙ্গে। তার মজা লাগে বিভিন্ন ধরনের মানুষের মুখের দিকে তাকাতে। তাদের মনের ভাবনা মুখে ফুটে ওঠে বিচিত্র রেখায়। কারও মুখে রয়েছে বিরক্তির ভাব, কারও মুখে আবার দুশ্চিন্তার ছায়া। কারও চুল অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে আচড়ানাে, কেউবা আবার জামা পরেছে উলটো করে। পথে চলতে চলতে কারাের হয়তাে খুব একটা হাসির কথা মনে পড়ে গেছে। আপন মনে হাসতে হাসতে তারা দেখে নেয় চারপাশ—এভাবে হঠাৎ করে হাসতে তাদের কেউ দেখে ফেলেনি তাে! এইরকম নানা ধরনের মানুষেরই সাক্ষাৎ পান লেখক বিকেলবেলায় পথচলতি মানুষের ভিড়ে মিশে গিয়ে।
ছেলেটা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল। -মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা কী করেছিল? এরপর কী ঘটেছিল?
কিন্তু ইংরেজের টনক নড়ে গিয়েছিল।—যে কারণে লেখক এ কথা বলেছেন নিজের ভাষায় লেখাে।
কলকাতার ইটের পাঁজরে লুকিয়ে আছে ভালােবাসার ঝরনা।—কলের কলকাতা অবলম্বনে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।
মেঘের গায়ে জেলখানা। বিশ্বাস হয় না? দেখে এসাে বক্সায়।—লেখকের এই বক্সায় যাত্রাপথের বর্ণনা দাও।
অথবা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে বক্সা জেলখানার বর্ণনা দাও।