কী প্রসঙ্গে কলকাতার নিম্নলিখিত স্থানগুলি লেখকের রচনায় এসেছে ক্লাইভ স্ট্রিট, মুচিপাড়া থানা, রাজাবাজার বস্তি, চিনেপাড়া, খিদিরপুর?

ক্লাইভ স্ট্রিট : ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রদের এক বিশাল মিছিল বেরিয়েছিল ক্লাইভ স্ট্রিটে। মিছিলটির নেতৃত্বে ছিল তিনটি দল— কংগ্রেস, মুসলিম লিগ ও ছাত্র নওজওয়ান। রাইফেলধারী পুলিশ সে মিছিলের পথরােধ করে হঠাৎই সেই মিছিলের উপর বেটন হাতে ঝাপিয়ে পড়ে। গর্জে ওঠে কাদুনে বােমা। ফলে প্রচুর ছাত্রের শারীরিক ক্ষতি হয়।


মুচিপাড়া থানা : বউবাজার স্ট্রিটের কংগ্রেস অফিস থেকে ইংরেজের গােরা সার্জেন্ট ও লাল পাগড়িওয়ালা পুলিশ এক নেতাকে গ্রেফতার করে প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে নিয়ে যায়। স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে বিশাল জনতাও সেই ভ্যানের সঙ্গে সঙ্গে যায়। ভ্যানটি মুচিপাড়া থানার সামনে এসে থামলে লােকারণ্য হয়ে যায়।


রাজাবাজার বস্তি : রিকশাওয়ালা, ফেরিওয়ালা, বিড়ি শ্রমিক, কলকারখানার মজুর—এইসব গরিব লােকের বাস ছিল রাজাবাজার বস্তিতে। স্বাধীনতা আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী কদম রসুল থাকত এই বস্তিতেই। অসম্ভব সাহসী ও উদার মনের কদম রসুল ছিল গ্যাস কোম্পানির ইউনিয়নের এক বড়াে নেতা। বস্তির সবাই তাকে ভালােবাসত। স্বাধীনতা আন্দোলনে তার মৃত্যু হলে বস্তির বাকিরা চাদা তুলে কদমের অসহায় পরিবারের দায়িত্ব নিতে সচেষ্ট হয়।


চিনেপাড়া : লেখক পুরােনাে বাড়ি ছেড়ে ফিরিঙ্গি পাড়ায় নতুন ভাড়া বাড়িতে উঠে আসার পর একদিন হাঁটতে হাঁটতে চিনেপাড়ায় গিয়ে দেখেন আবগারি পুলিশ বেআইনি মদের জালা ধরে নিয়ে আসছে। দু-বগলে ক্রাচ নিয়ে ঘােরা ইনফর্মারের দৌলতে গাঁজা আফিঙের বে-আইনি ঠেক থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়া লােকেদের জামিনদার হয় চিনেপাড়ার জুতাের দোকানের মালিক চিং- থাই। সারাদিন ধরে লেখক চিনেপাড়ায় ঘুরতে ঘুরতে এইসব দৃশ্যই দেখতেন।


খিদিরপুর : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানিরা দিনের বেলা বােমা ফেলেছিল খিদিরপুরে। এর ফলে ডকের অনেক মজুর মারা গিয়েছিল।


মেঘের গায়ে জেলখানা। বিশ্বাস হয় না? দেখে এসাে বক্সায়।—লেখকের এই বক্সায় যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। 


সামনে একটা কাঠের ফলকে লেখা: সান্তালবাড়ি। -মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের রাজাভাতখাওয়া থেকে সান্তালবাড়ি অবধি যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। 


গাড়ি এসে থামে রাজাভাতখাওয়ায়।—শিলিগুড়ি থেকে লেখকের রাজাভাতখাওয়ায় আসার যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। সেখানে নেমে লেখকের কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল? 


মেঠো রাস্তার ওপর দিয়ে কাতারে কাতারে চলেছে মানুষ।— লেখক কখন, কোথায় এই দৃশ্য দেখেছিলেন? সেদিন আর কোন্ কোন্ দৃশ্য দেখেছিলেন লেখক? 


ডানদিকে কাঁটাতারে ঘেরা জেলখানার চৌহদ্দি। -কোন জেলখানার কথা বলা হয়েছে? জেলখানার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। 

অথবা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে বক্সা জেলখানার বর্ণনা দাও। 


সেই মেঘের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বক্সার জেলখানা।—সান্তালবাড়ি থেকে কীভাবে লেখক বক্সা জেলখানায় পৌঁছেছিলেন, তা মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে লেখাে। 


গাঁয়ের লােকে ঠাট্টা করে বলে—চোট্টা সাধুর ছেলে হবে নির্ঘাত বিশে ডাকাত।—সাধু কে? মেঘের গায়ে জেলখানা রচনাংশে সাধুর যে পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

অথবা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে সাধুচরণের পরিচয় দাও। 


এরা সব সাধুচরণের অতীত, সাধুচরণ এদের ভবিষ্যৎ।—কোন্ প্রসঙ্গে লেখকের কাছে এই সত্য ধরা পড়েছিল? কথাটির নিহিতার্থ আলােচনা করাে। 


এরা সব সাধুচরণের অতীত, সাধুচরণ এদের ভবিষ্যৎ।— এখানে এরা বলতে কাদের কথা বােঝানাে হয়েছে? মুস্তাফার বিশদ পরিচয় দাও। 


কিন্তু এদের কারাে জন্যেই তৈরি হয়নি বক্সা বন্দি শিবির।— এদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? এই বন্দিশিবির কীভাবে তৈরি হয়েছিল, তার বর্ণনা দাও। 


জেলখানায় অসহ্য লাগে অপরাধের তুলনায় শাস্তির এই হেরফের। -কোন জেলখানার কথা বলা হয়েছে? জেলখানায় অপরাধের তুলনায় শাস্তির কী হেরফের লেখক লক্ষ করেছেন? 


দেশকে ভালােবাসা ছাড়া কোনাে অপরাধই যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হয়নি,- লেখক এখানে কাদের কথা বলেছেন? তাদের সম্পর্কে লেখকের যে মনােভাব প্রকাশিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।