“গাঁয়ের লােকে ঠাট্টা করে বলে—চোট্টা সাধুর ছেলে হবে নির্ঘাত বিশে ডাকাত।”—সাধু কে? 'মেঘের গায়ে জেলখানা’ রচনাংশে সাধুর যে পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখাে।

সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের 'মেঘের গায়ে জেলখানা' রচনা অবলম্বন করে সাধুচরণের পরিচয় দাও।


'মেঘের গায়ে জেলখানা' রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের বক্সা জেলখানা ভ্রমণকালে যে গাঁজাখাের, চোর কয়েদির সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল, সেই ছিল সাধুচরণ, ওরফে সাধু।


সাধুচরণের পরিচয়: সাধুচরণের বয়স ছিল পঞ্চাশ, গায়ে মাংস ছিল না। তার বাড়ি ছিল জয়নগরের এক গণ্ডগ্রামে। ছােটোবেলা থেকেই পিতৃমাতৃহীন সাধুচরণ আত্মীয়স্বজনের আশ্রয় না পেয়ে বাধ্য হয়েই খিদের জ্বালায় ছিচকে চুরি শুরু করে। একদিন হাতেনাতে ধরা পড়ে জেল হয়ে যায় সাধুচরণের। জেল থেকে বেরিয়ে সে পাকা সিঁধেল চোর হয়ে ওঠে। এরপর অনেকবারই তাকে জেলে যেতে হয়। একসময় সে ঠিক করে, অসততার পথ ত্যাগ করে সে সংসার করবে। চোরাই পয়সায় সে কিছু জায়গা জমি কিনে বিয়ে করে। তার এক ছেলেও জন্মায়, নাম বিশে। কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি সাধুচরণকে বেশিদিন ভালাে থাকতে দেয় না। গ্রামে চুরি-ডাকাতির কোনাে ঘটনা ঘটলেই থানায় ডাক পড়ে তার। নিরপরাধ হওয়া সত্ত্বেও তাকে রুলের পুতাে খেতে হয়, অনেকক্ষেত্রে পুলিশকে ঘুষ দিয়ে রেহাই পেতে হয়। তার মনে হয় যে, চুরি করে জেলের ভাত খাওয়া এর চেয়ে অনেক বেশি সুখের। তাই সে আবার ফিরে যায় তার পুরােনাে পেশা চৌর্যবৃত্তিতে। তবে দীর্ঘদিন জেলে থাকায় ছেলে বিশের জন্য আর শুকনাে পড়ে-থাকা চাষের জমির কথা ভেবে তার চিন্তা হত।


এরা সব সাধুচরণের অতীত, সাধুচরণ এদের ভবিষ্যৎ।—কোন্ প্রসঙ্গে লেখকের কাছে এই সত্য ধরা পড়েছিল? কথাটির নিহিতার্থ আলােচনা করাে। 


এরা সব সাধুচরণের অতীত, সাধুচরণ এদের ভবিষ্যৎ।— এখানে এরা বলতে কাদের কথা বােঝানাে হয়েছে? মুস্তাফার বিশদ পরিচয় দাও। 


কিন্তু এদের কারাে জন্যেই তৈরি হয়নি বক্সা বন্দি শিবির।— এদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? এই বন্দিশিবির কীভাবে তৈরি হয়েছিল, তার বর্ণনা দাও। 


জেলখানায় অসহ্য লাগে অপরাধের তুলনায় শাস্তির এই হেরফের। -কোন জেলখানার কথা বলা হয়েছে? জেলখানায় অপরাধের তুলনায় শাস্তির কী হেরফের লেখক লক্ষ করেছেন? 


দেশকে ভালােবাসা ছাড়া কোনাে অপরাধই যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হয়নি,- লেখক এখানে কাদের কথা বলেছেন? তাদের সম্পর্কে লেখকের যে মনােভাব প্রকাশিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে। 


গলার মধ্যে থলি বানাতে কষ্ট আছে। -কারা, কীভাবে গলার মধ্যে থলি বানায় তা মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা বক্সা জেলে কয়েদিরা কীভাবে সােনাদানা জেলের মধ্যে লুকিয়ে রাখত, তা মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে লেখাে। 


আইনে নেই বলেই টাকা রাখবার মাজর কল করেছে তারা। -কারা কোথায় টাকার রাখবার মজার কল করেছে? মজার কল তৈরির পদ্ধতি উল্লেখ করাে। 


কেননা তাদের বড়াে ঘর, বনেদি বংশতারা সুয়ােরানির ছেলে।—কাদের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? তাদের বিষয়ে লেখক কী বলেছেন এবং তাদের প্রতি জেল-কর্তৃপক্ষের আচরণ পর্যালোচনা করাে। 


আজ ইংরেজ নেই, তবু তার আগের ব্যবস্থাই বহাল আছে বক্সায়।—কোন ব্যবস্থার কথা এখানে বলা হয়েছে? যখন বক্সায় ইংরেজরা বন্দিশিবির তৈরি করেছিল, তখন সেখানকার পরিবেশ কেমন ছিল? 


সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে জেলের সাধারণ কয়েদিদের ওপর জেল কর্তৃপক্ষ এবং জেল কর্মচারীদের অত্যাচার বর্ণনা করাে। 

অথবা মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বনে জেলের কয়েদিদের দুর্দশা ও দুরবস্থার বর্ণনা দাও। 

অথবা জেলখানা একটা আলাদা জগৎ। -সেই জগতের যে চিত্র মেঘের গায়ে জেলখানা পাঠে ধরা পড়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখাে। 


জেলখানাটা পাহাড়ের তিনতলা সমান একটা হাঁটুর ওপর।— কোন্ জেলখানা? সেখানে সাধারণ কয়েদিদের ওপর কীরকম অত্যাচার করা হত? 


আজকাল বড় মন কেমন করে।—কার জন্য, কার মন কেমন করে? তার জীবনের কোন কথা জানা যায়?