"কেননা তাদের বড়াে ঘর, বনেদি বংশতারা সুয়ােরানির ছেলে।”—কাদের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? তাদের বিষয়ে লেখক কী বলেছেন এবং তাদের প্রতি জেল-কর্তৃপক্ষের আচরণ পর্যালোচনা করাে।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গ: 'মেঘের গায়ে জেলখানা' রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় বক্সা জেলখানা ভ্রমণকালে যে অভিজাত কয়েদিদের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন তাদেরকেই তিনি 'সুয়ােরানির ছেলে বলেছেন।
লেখকের বক্তব্য : খাদ্যে ভেজাল বা বিষ মিশিয়ে অথবা নােট জাল করে কিংবা ব্যাংক লুঠ করে এরা জেলে এসেছে। অথচ এরা বুক ফুলিয়ে জেলে ঘুরে বেড়ায়। এইসব তথাকথিত ভদ্র, শিক্ষিত কয়েদিদের কর্তামহল তােয়াক্কা করে, অন্য কয়েদিরা সম্মান করে। অভিজাত, ধনী পরিবারের এইসব শিক্ষিত যুবক ট্রামে-বাসে কারও পকেট মারেনি, ছুরি দেখিয়ে কারও টাকার থলি ছিনিয়েও নেয়নি। অভাব কাকে বলে, তাও কখনও জানতে পারেনি তারা। তারা ব্যাংক লুঠ করে হাজার হাজার গরিব বা বিধবাকে সর্বস্বান্ত করেছে, খাদ্যে বিষাক্ত ভেজাল মিশিয়ে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, নােট জাল করে হাজার হাজার পরিবারকে পথের ভিখারি করে দিয়েছে। এসব করেও জেলে তারা সুয়ােরানির ছেলের মতাে পরম সুখে বাস করছে।
জেল-কর্তৃপক্ষের আচরণ : এইসব উচ্চবিত্ত, প্রভাবশালী কয়েদিদের 'আপনি-আজ্ঞে' করে খাতির দেখিয়ে বক্সার জেল-কর্তৃপক্ষ একরকম পক্ষপাতমূলক আচরণই করত।
অথবা মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বনে জেলের কয়েদিদের দুর্দশা ও দুরবস্থার বর্ণনা দাও।
আজকাল বড় মন কেমন করে।—কার জন্য, কার মন কেমন করে? তার জীবনের কোন কথা জানা যায়?
জেলে বন্দি সাধুচরণ ও মুস্তাফার জীবনকাহিনি সংক্ষেপে লেখাে।
তােমরা হাত বাড়াও, তাকে সাহায্য করাে—লেখক কাকে, কীভাবে, কেন সাহায্য করতে বলেছেন?
অথবা, কিন্তু আজও সেই দুটো জলন্ত চোখ আমাকে থেকে থেকে পাগল করে।—লেখকের এই রকম মন্তব্যের কারণ কী?
হাত বাড়াও রচনাটির মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, হাত বাড়াও রচনায় লেখকের বক্তব্যবিষয় কী বুঝিয়ে দাও।
অমৃতের পুত্র মানুষ।—কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? উক্তিটির নিহিত অর্থ বুঝিয়ে দাও।
সরু লিকলিকে আঙুল দিয়ে সেইসব খুনিদের সে শনাক্ত করছে—কে শনাক্ত করছে? কাদের, কেন খুনি বলা হয়েছে?
ছুটে পালিয়ে এলাম স্টেশনে। -বক্তা কে? তিনি কেন স্টেশনে পালিয়ে এলেন?