'মেঘের গায়ে জেলখানা। বিশ্বাস হয় না? দেখে এসাে বক্সায়।”—লেখকের এই বক্সায় যাত্রাপথের বর্ণনা দাও।

বক্সার যাত্রাপথ: 'মেঘের গায়ে জেলখানা' রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় বিশ শতকের পাঁচের দশকের কোনাে একদিন হাওড়া স্টেশন থেকে সাহেবগঞ্জগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেনে ওঠেন। সেই ট্রেন অত্যন্ত ধীর গতিতে বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে অবিভক্ত বিহারের সাহেবগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছােয়। সেখান থেকে গঙ্গা নদীর সকরিগলি ঘাটে পৌঁছান লেখক। তারপর রাতের বেলাতেই খেয়াপারাপারকারী স্টিমারে নদী পার হয়ে পৌঁছােন মণিহারি ঘাটে। সেখান থেকে স্টেশনে। মিটারগেজ লাইনের সেই ট্রেন কাটিহার, পূর্ণিয়া, কিষানগঞ্জ অতিক্রম করে একসময় আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ট্রেন এরপর হিমালয়ের কাছাকাছি নকলবাড়ি, হাতিঘিষা, বাঘডােগরা প্রভৃতি স্টেশন পার হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছােয়। শিলিগুড়ি জংশন পার হয়ে ট্রেনটি ডানদিকে বাঁক নিয়ে কিছুটা এগিয়ে তিস্তা রেলসেতু অতিক্রম করে। লেখক তখন নীচ দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা তিস্তাকে দেখতে পান। এক ছােট্ট স্টেশনে ট্রেন থামলে লেখক কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গ দেখতে পান। এরপর একসময় রাজাভাতখাওয়া স্টেশনে তিনি নেমে পড়েন। সেখান থেকে ট্রাকে সওয়ারি হয়ে দীর্ঘ চা বাগান এলাকা অতিক্রম করে পাহাড়ি চড়াই পথে একসময় পৌঁছােন সান্তালবাড়ি। সেখান থেকে দু-মাইল চড়াই পথ পায়ে হেঁটে লেখক পৌঁছােন বক্সায়।


সামনে একটা কাঠের ফলকে লেখা: সান্তালবাড়ি। -মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের রাজাভাতখাওয়া থেকে সান্তালবাড়ি অবধি যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। 


গাড়ি এসে থামে রাজাভাতখাওয়ায়।—শিলিগুড়ি থেকে লেখকের রাজাভাতখাওয়ায় আসার যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। সেখানে নেমে লেখকের কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল? 


মেঠো রাস্তার ওপর দিয়ে কাতারে কাতারে চলেছে মানুষ।— লেখক কখন, কোথায় এই দৃশ্য দেখেছিলেন? সেদিন আর কোন্ কোন্ দৃশ্য দেখেছিলেন লেখক? 


ডানদিকে কাঁটাতারে ঘেরা জেলখানার চৌহদ্দি। -কোন জেলখানার কথা বলা হয়েছে? জেলখানার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। 

অথবা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে বক্সা জেলখানার বর্ণনা দাও। 


সেই মেঘের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বক্সার জেলখানা।—সান্তালবাড়ি থেকে কীভাবে লেখক বক্সা জেলখানায় পৌঁছেছিলেন, তা মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে লেখাে। 


গাঁয়ের লােকে ঠাট্টা করে বলে—চোট্টা সাধুর ছেলে হবে নির্ঘাত বিশে ডাকাত।—সাধু কে? মেঘের গায়ে জেলখানা রচনাংশে সাধুর যে পরিচয় পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখাে। 

অথবা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে সাধুচরণের পরিচয় দাও। 


এরা সব সাধুচরণের অতীত, সাধুচরণ এদের ভবিষ্যৎ।—কোন্ প্রসঙ্গে লেখকের কাছে এই সত্য ধরা পড়েছিল? কথাটির নিহিতার্থ আলােচনা করাে। 


এরা সব সাধুচরণের অতীত, সাধুচরণ এদের ভবিষ্যৎ।— এখানে এরা বলতে কাদের কথা বােঝানাে হয়েছে? মুস্তাফার বিশদ পরিচয় দাও। 


কিন্তু এদের কারাে জন্যেই তৈরি হয়নি বক্সা বন্দি শিবির।— এদের বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? এই বন্দিশিবির কীভাবে তৈরি হয়েছিল, তার বর্ণনা দাও। 


জেলখানায় অসহ্য লাগে অপরাধের তুলনায় শাস্তির এই হেরফের। -কোন জেলখানার কথা বলা হয়েছে? জেলখানায় অপরাধের তুলনায় শাস্তির কী হেরফের লেখক লক্ষ করেছেন? 


দেশকে ভালােবাসা ছাড়া কোনাে অপরাধই যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ হয়নি,- লেখক এখানে কাদের কথা বলেছেন? তাদের সম্পর্কে লেখকের যে মনােভাব প্রকাশিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে। 


গলার মধ্যে থলি বানাতে কষ্ট আছে। -কারা, কীভাবে গলার মধ্যে থলি বানায় তা মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বনে লেখাে। 

অথবা বক্সা জেলে কয়েদিরা কীভাবে সােনাদানা জেলের মধ্যে লুকিয়ে রাখত, তা মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে লেখাে।