"ছেলেটা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল।" -মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা কী করেছিল? এরপর কী ঘটেছিল?

ছেলেটির ক্রিয়াকলাপ: সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের 'কলের কলকাতা' রচনায় দেখা যায়, স্বাধীনতা-আন্দোলনরত কলকাতার কার্জন পার্কে একদিন একটি বাচ্চা ছেলে মশাল হাতে রাস্তা পার হয়ে সাহেবদের এক হােটেলে পিলার বেয়ে উঠে পড়ে। তারপর সে হাতের জ্বলন্ত মশালটা সে হােটেলের ভেতর ছুড়ে ফেলে। হােটেলটি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। ভেতর থেকে সাহেবদের ভয়ার্ত চিৎকার শােনা যায়। পিলার বেয়ে নেমে ছেলেটি যখন চৌমাথায় পৌঁছে এক ফলওয়ালার দেওয়া একটি কমলালেবু ছাড়াচ্ছিল, তখন পেছনদিক থেকে একটা গুলির শব্দ শােনা যায়। সেই গুলিতে বিদ্ধ হয়েই ছেলেটি মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যায়।


পরবর্তী ঘটনা : এই ঘটনা বর্ণনা করার পর লেখক জানিয়েছেন যে, তখন মেডিকেল কলেজে প্রতি মিনিটেই এক-একজন করে গুলিবিদ্ধ মানুষ ভরতি হচ্ছিল। একদিন ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত এক ভদ্রলােক ইমার্জেন্সিতে ঢুকতে গেলে স্বেচ্ছাসেবকরা ভিড় বাড়াতে নিষেধ করে। স্বেচ্ছাসেবক ছেলেটি লােকটির প্রয়ােজনের কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি শান্তভাবে জানান যে, তার গুলি লেগেছে। ছেলেটি তখন দেখে যে, ভদ্রলােকের পিঠে কড়ে আঙুলের সমান ক্ষত হয়েছে এবং সেখান থেকে বেরােনাে রক্তে তার জামাকাপড় ভেসে যাচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি করে তাকে স্ট্রেচারে শুইয়ে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে গুলিটি বুকের বদলে পিঠে লাগায় আত্মসম্মানে ঘা লাগে তাঁরপাছে। কেউ ভাবে যে, তিনি ভয়ে পালাচ্ছিলেন। অবশ্য, গুলি খেয়ে তিনি আদৌ ভীত হয়ে পড়েননি।


সারা কলকাতা যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন কার্জন পার্কের সামনে কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে লেখাে। 


সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে গুলিবিদ্ধ ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত ভদ্রলােক এবং কদম রসুলের পরিচয় দাও। 


কিন্তু ইংরেজের টনক নড়ে গিয়েছিল।—যে কারণে লেখক এ কথা বলেছেন নিজের ভাষায় লেখাে। 


কলকাতার ইটের পাঁজরে লুকিয়ে আছে ভালােবাসার ঝরনা।—কলের কলকাতা অবলম্বনে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে। 


রামদুলালবাবু বালক লেখককে কীভাবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক আবেগে আন্দোলিত করেছিলেন তা কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে লেখাে। 


কী প্রসঙ্গে কলকাতার নিম্নলিখিত স্থানগুলি লেখকের রচনায় এসেছে ক্লাইভ স্ট্রিট, মুচিপাড়া থানা, রাজাবাজার বস্তি, চিনেপাড়া, খিদিরপুর? 


মেঘের গায়ে জেলখানা। বিশ্বাস হয় না? দেখে এসাে বক্সায়।—লেখকের এই বক্সায় যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। 


সামনে একটা কাঠের ফলকে লেখা: সান্তালবাড়ি। -মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের রাজাভাতখাওয়া থেকে সান্তালবাড়ি অবধি যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। 


গাড়ি এসে থামে রাজাভাতখাওয়ায়।—শিলিগুড়ি থেকে লেখকের রাজাভাতখাওয়ায় আসার যাত্রাপথের বর্ণনা দাও। সেখানে নেমে লেখকের কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল? 


মেঠো রাস্তার ওপর দিয়ে কাতারে কাতারে চলেছে মানুষ।— লেখক কখন, কোথায় এই দৃশ্য দেখেছিলেন? সেদিন আর কোন্ কোন্ দৃশ্য দেখেছিলেন লেখক? 


ডানদিকে কাঁটাতারে ঘেরা জেলখানার চৌহদ্দি। -কোন জেলখানার কথা বলা হয়েছে? জেলখানার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। 

অথবা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে বক্সা জেলখানার বর্ণনা দাও। 


সেই মেঘের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বক্সার জেলখানা।—সান্তালবাড়ি থেকে কীভাবে লেখক বক্সা জেলখানায় পৌঁছেছিলেন, তা মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে লেখাে।