"কিন্তু ইংরেজের টনক নড়ে গিয়েছিল।”—যে কারণে লেখক এ কথা বলেছেন নিজের ভাষায় লেখাে।
লেখকের এ কথা বলার কারণ: সুভাষ মুখােপাধ্যায় তাঁর 'কলের কলকাতা' রচনায় ইংরেজের বিরুদ্ধে দেশবাসীর সম্মিলিত প্রতিরােধের কথা তুলে ধরেছেন শহর কলকাতার প্রেক্ষাপটে। চৌরঙ্গির রেস্তোরাঁর কর্মচারী, শিয়ালদহর বাজারে ঝাকামুটের কাজ করা মানুষটা, ফুটপাতে ভিড় জমিয়ে খেলা দেখানাে লােকটা, রাস্তায় জুতাে পালিশ করা ছেলেটা—ইংরেজের গুলিকে অগ্রাহ্য করে প্রতিবাদ মিছিলে জড়াে হয় সকলেই। কার্জন পার্কে জনসমুদ্র গােরা পল্টনদের পিছিয়ে যেতে বাধ্য করে। কংগ্রেস, মুসলিম লিগ আর ছাত্র নওজোয়ানের পতাকা রাস্তার দখল নেয়। ইংরেজের হােটেলে আগুন লাগিয়ে জীবন দেয় অকুতােভয় বালক। ধুতি-পাঞ্জাবি পরা বাঙালি ভদ্রলােক লজ্জিত হন ইংরেজের গুলি তার বুকে না লেগে পিঠে লেগেছে বলে। বীরত্ব ও আত্মদানের অর্ঘ্য সাজিয়ে দেয় বাঙালি। রাজাবাজারের বস্তিতে কদম রসুল শহীদ হলে চাঁদা তুলে সকলে তার পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। প্রতিবাদ আর সহমর্মিতার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করে কলকাতা। ইংরেজের সেনারা শুধু অত্যাচার করেই ক্লান্ত থাকে না, লুটের রাজত্বও চালায়। ধীরে ধীরে আন্দোলনের তীব্রতা অবশ্য কমে আসে। রাস্তায় ফিরে আসে গতানুগতিক জীবনপ্রবাহ। কিন্তু ইংরেজ বুঝতে পারে যে, এভাবে দেশের দখল রাখা আর সম্ভব নয়। এমনকি 'সেপাই সাত্রীও আর তার বাধ্য নয়'। ভারত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবতে থাকে তারা। এই প্রেক্ষাপটেই লেখক মন্তব্যটি করেছেন।
কলকাতার ইটের পাঁজরে লুকিয়ে আছে ভালােবাসার ঝরনা।—কলের কলকাতা অবলম্বনে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।
মেঘের গায়ে জেলখানা। বিশ্বাস হয় না? দেখে এসাে বক্সায়।—লেখকের এই বক্সায় যাত্রাপথের বর্ণনা দাও।
অথবা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে বক্সা জেলখানার বর্ণনা দাও।
অথবা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের মেঘের গায়ে জেলখানা রচনা অবলম্বন করে সাধুচরণের পরিচয় দাও।