সমার্থকতা বিষয়টি নিয়ে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

সমার্থকতা

'সমার্থকতা' শব্দের অর্থ হল অর্থের অভিন্নতা। দুই বা ততােধিক শব্দের মধ্যে অর্থগত সাদৃশ্য থাকলে সেই শব্দগুলিকে সমার্থক শব্দ বলা হয়। ভাষাবিজ্ঞানী ব্লুমফিল্ড বলেন যে, প্রতি রূপ বা শব্দের বিশেষ অর্থ আছে। অর্থাৎ তার মতে, ভাষাতে কোনাে সমার্থক শব্দ থাকার কথা নয়। কিন্তু বাস্তবে আমরা হামেশাই একটি শব্দকে অন্য শব্দের সমার্থক রূপে ব্যবহার করি। যেমন রামরাবণে যুদ্ধ বেধেছে। বাক্যের যুদ্ধ শব্দটির বদলে আমরা সমার্থক 'লড়াই' শব্দটি ব্যবহার করতে পারি। অভিধানে মুখশব্দকে ব্যাখ্যা করতে যে শব্দগুলি ব্যবহৃত হয়, তারা সমার্থকতার ভিত্তিতেই নির্বাচিত হয়। যেমন一


ঝগড়া: দ্বন্দ্ব, বিরােধ। জল: পানি, বারি, নীর, সলিল।

আনন্দ: হর্ষ, হরষ, পুলক। ছাতা: ছাতি, ছত্র।

পাখি: পক্ষী, বিহগ, খেচর, বিহঙ্গম।


তবে, ব্লুমফিল্ডের মতকে কিছুটা সমর্থন করে আমরা বলতে পারি যে, দুই শব্দের অর্থ হুবহু এক হয় না কখনােই। সমার্থক শব্দগুলির মধ্যে সামান্য অর্থপার্থক্য থাকেই। এই পার্থক্যটা ব্যাবহারিক পার্থক্য। যেমন, কোনাে শব্দ আনুষ্ঠানিক, কোনাে শব্দ কাব্যিক, কোনাে শব্দ তৎসম, কোনাে শব্দ অতৎসম, কোনাে শব্দ মান্য ভাষার শব্দ, কোনাে শব্দ আঞ্চলিক শব্দ ইত্যাদি। যেমন 'আনন্দ' আনুষ্ঠানিক শব্দ হলেও 'হরয' কাব্যিক শব্দ, 'পাখি' অতৎসম শব্দ হলেও 'পক্ষী' তৎসম শব্দ, 'জল' মান্য ভাষার শব্দ, 'পানি' আঞ্চলিক শব্দ। তা ছাড়া, একথাও ঠিক যে সমার্থক শব্দগুলি সব প্রসঙ্গে সমার্থকও নয়। যেমন ছাতা হাতছাড়া কোরাে না। ছত্রহীন মস্তক তপ্ত হয়। ছাতি বেচে হাতি পেল। ফলে ছাতির জায়গায় 'ছত্র’ বা ছাতা ব্যবহার করা যায় না সব প্রসঙ্গে। সুতরাং সমার্থক শব্দের 'বিশেষ অবস্থান'-ও থাকে।


বিপরীতার্থকতা ও ব্যাপকার্থকতা সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


থিসরাস-এর বিস্তৃত বর্ণনা দাও। 


বাক্যতত্ত্বের প্রয়ােগতত্ত্ব বিষয়টি আলােচনা করাে। 


শব্দের অর্থ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান তাত্ত্বিক ধারণার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 


অর্থগত দিক থেকে শব্দের পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্নতা নির্দেশ করাে। 

অথবা, উদাহরণসহ যে-কোনাে দুটি বিভাগের পরিচয় দাও: সমার্থকতা, বিপরীতার্থকতা, ব্যাপকার্থকতা। 


শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা ক-টি ভাগে বিভক্ত ও কী কী? যে-কোনাে একটি ভাগ উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। 

অথবা, শব্দার্থের রূপান্তর বা সংশ্লেষ বলতে কী বােঝ ? উদাহরণ দাও। 


সূচনা পর্ব থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বাংলা গানের ধারা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের আদিপর্ব সম্পর্কে যা জান লেখাে। 


বৈয়ব পদাবলীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলা কীর্তনগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ইতিহাসে কবিওয়ালাদের অবদান সম্পর্কে যা জান লেখাে। 

অথবা, বাংলা গানে কবিগানের গুরুত্ব আলােচনা করাে। 


টপ্পা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


যাত্রাগান সম্পর্কে যা জান আলােচনা করাে।