বাক্যতত্ত্বের 'প্রয়ােগতত্ত্ব' বিষয়টি আলােচনা করাে।

বাক্যতত্ত্বের 'প্রয়ােগতত্ত্ব'

সম্পর্কগত প্রত্যক্ষ বা পরিমণ্ডলই অর্থের জন্য শেষ কথা নয়। আসলে সমস্ত শব্দ ও তার অর্থই শেষপর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে উদ্ভাবিত হয়। রূপান্তর ও সৃজনমূলক ব্যাকরণে শব্দার্থতত্ত্বের ক্ষেত্রে অর্থ এবং অন্বয়ের মধ্যে একটা সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা যে বাকাই উচ্চারণ করি না কেন, শেষপর্যন্ত তা আমরা বুঝতে পারলাম কি না বা অন্যকে বােঝাতে পারলাম কি না, তার উপরই বাক্যটির স্বীকৃতি নির্ভর করে। এই বােধগম্যতা ব্যাকরণের প্রত্যেকটি প্রকরণ নির্ণয়ের নিয়মের ওপর নির্ভরশীল।


ভাষাবিজ্ঞানী চমস্কি সেই জন্য তাঁর 'Aspects of the Theory of Syntax' গ্রন্থে শব্দার্থকে ব্যাকরণের একটি প্রধান অঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠা করেছেন।


চমস্কি প্রবর্তিত বাক্যতত্ত্বে অন্বয় সম্বন্ধীয় স্তর থেকে বাক্যগুলি রূপান্তর বিধি দ্বারা পরিবর্তিত হয়ে ধ্বনিতাত্ত্বিক রূপ গ্রহণ করে। কিন্তু অন্ধয় সম্বন্ধীয় স্তরের বিমূর্ত উপাদানগুলি যখন প্রকৃত শব্দ গ্রহণ করে, তখন তাকে শব্দার্থের নিয়মাবলি মানতে হয়। তাই শব্দার্থ হল রূপান্তরমূলক ব্যাকরণের একটি অন্যতম অঙ্গ।


প্রথাগত ব্যাকরণ মেনে শব্দের দ্ব্যর্থকতা বা অসংগতি দিয়েও আমরা শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করতে পারি, যেমন -

"আনিয়াছে তব স্বামী বাঁধি নিজ গুণে।”


এই বাক্যে গুণে শব্দটি দুটি অর্থ প্রকাশ করে— ‘ধনুকের ছিলা’ এবং 'চারিত্রিক উৎকর্ষ'। ফলে বাক্যটি দুটি অর্থে প্রতিভাত হয়। কিন্তু বাক্যে প্রযুক্ত এতসব শব্দের অর্থ বােঝাতে আমাদের বহু ক্ষেত্রেই ব্যাকরণের জগতের বাইরে যেতে হয়। অর্থাৎ আমরা সব শব্দেরই ব্যাকরণসম্মত অর্থ জেনে তাকে ভাষায় বা বাক্যে প্রয়ােগ করি না।


সেইজন্য কোনাে কোনাে ভাষাবিজ্ঞানী প্রয়ােগতত্ত্ব বা Pragmatics নামে একটি শাখার কথা ভেবেছেন, যার লক্ষ্য হল ভাষাতাত্ত্বিক সম্পর্কের বাইরের জ্ঞান ও বিশ্বাসের সঙ্গে অর্থের সম্পর্ক আবিষ্কার। তাদের মতে, কোনাে বক্তার কথনভঙ্গি ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে তার বক্তব্যকে বুঝতে পারার ক্ষমতাই হল প্রয়ােগমূলক দক্ষতা।


প্রয়ােগতত্ত্বের দ্বারা দেখা হয়, শব্দার্থের পরিবর্তন শুধু ভাষার জ্ঞান ও গঠনের ওপর নির্ভর করে না। ভাষা-বিশেষ সম্পর্কে বক্তা এবং শ্রোতার পূর্বধারণা, ভঙ্গি, উদ্দেশ্য বা আরও অন্যান্য কারণের ওপরও শব্দার্থের পরিবর্তন নির্ভর করে। প্রয়ােগতত্ত্ববাদীরা মনে করেন, স্থান-কাল-পাত্র-বুচি-স্বভাব ইত্যাদি প্রত্যক্ষণ দ্বারাও ভাষাজ্ঞান অর্জন বা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দের অর্থবােধ হতে পারে।


শব্দের অর্থ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান তাত্ত্বিক ধারণার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 


অর্থগত দিক থেকে শব্দের পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্নতা নির্দেশ করাে। 

অথবা, উদাহরণসহ যে-কোনাে দুটি বিভাগের পরিচয় দাও: সমার্থকতা, বিপরীতার্থকতা, ব্যাপকার্থকতা। 


শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা ক-টি ভাগে বিভক্ত ও কী কী? যে-কোনাে একটি ভাগ উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। 

অথবা, শব্দার্থের রূপান্তর বা সংশ্লেষ বলতে কী বােঝ ? উদাহরণ দাও। 


সূচনা পর্ব থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত বাংলা গানের ধারা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের আদিপর্ব সম্পর্কে যা জান লেখাে। 


বৈয়ব পদাবলীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলা কীর্তনগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ইতিহাসে কবিওয়ালাদের অবদান সম্পর্কে যা জান লেখাে। 

অথবা, বাংলা গানে কবিগানের গুরুত্ব আলােচনা করাে। 


টপ্পা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


যাত্রাগান সম্পর্কে যা জান আলােচনা করাে। 


পক্ষীর গান সম্পর্কে যা জান আলােচনা করাে। 


যাত্রা শব্দের অর্থ ও যাত্রাপালার বিষয় ও ভাবের পরিচয় দাও। 


আধুনিক বাংলা গানের ধারায় রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পরবর্তী সময়ের গীতিকারদের পরিচয় দাও।