বৈয়ব পদাবলীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বাংলা কীর্তনগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

কীর্তন এর উৎপত্তি সন্ধানে অনেকের মতে এর শিকড় রয়েছে। বেদের 'অনুকীর্তন' নামক প্রার্থনাসংগীতের মধ্যে। জয়দেবের গীতগােবিন্দর সময় থেকে কীর্তনের সূচনা বলে দাবি করেছেন অনেকে। তবে চৈতন্যদেবই কীর্তন গানকে বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিলেন।


কীর্তন দুই ভাগে বিভক্ত— নামকীর্তন এবং লীলাকীর্তন। নামকীর্তনে চার বা আট প্রহর, কখনাে চব্বিশ প্রহর ধরে শুধু ঈশ্বরের নাম সংকীর্তন করা হয়। বহু মানুষ বা ভক্তরা মিলিতভাবে নামগান করে থাকে। কৃষ্ণনাম বা কৃষ্ণের অষ্টোত্তরশতনামই সাধারণত গাওয়া হয়ে থাকে। নামকীর্তন যখন দলবদ্ধভাবে নগরের পথে পথে গাওয়া হয়, তাকে বলা হয় নগর কীর্তন।


অন্যদিকে কৃষ্ণের বিভিন্ন লীলা নিয়ে যে কীর্তনগান প্রচলিত তার নাম লীলাকীর্তন বা রসকীর্তন। বাল্যলীলা, গােষ্ঠলীলা, পূর্বরাগ, রূপানুরাগ, অভিসার, মান, মাথুর ইত্যাদি বিভিন্ন পর্যায়ে লীলাকীর্তন বিভক্ত। চৌষট্টি প্রকার রসের বিস্তার ঘটলেও মূল রস শৃঙ্গার বা মধুর। লীলাকীর্তনে একজন থাকেন মূল গায়েন। তিনি একটি লাইন গাওয়ার পরে কয়েকজন দোহার সেই পংক্তিটি পুনরায় গেয়ে থাকেন। এই সকল কথার যােজনাকে বলা হয় 'অলংকার', 'আখর' বা 'কাটান'। কীর্তনের পাঁচটি অঙ্গ যথাক্রমে কথা, দোহা, আখর, তুক ও ছুট।


শ্রীচৈতন্য শ্রীবৎসের গৃহে কীর্তন অনুষ্ঠান করতেন। নীলাচলে রথযাত্রায় চৈতন্য সাতটি সম্প্রদায়কে একত্রিত করে কীর্তন অনুষ্ঠান করেছিলেন। তার মৃত্যুর পরে খেতুরির মহােৎসবে নরােত্তম দাস ঠাকুরের পরিচালনায় গরানহাটি রীতির উদ্ভব হয়। পরে মনােহর দাস মনােহরশাহি রীতির প্রবর্তন করেন। রেনেটি ধারার উদ্ভাবন করেন বিপ্রদাস ঘােষ। এ ছাড়াও আরেক ধারা ছিলাে মন্দারিনি ধারা। কীর্তন গানে প্রত্যেক পালা শুরুর আগে সেই রস ও পর্যায়ের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে একটি করে গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ গেয়ে নেওয়া রীতি। এই পদগুলােকে বলা হয় গৌরচন্দ্রিকা। বিভিন্ন কালের উল্লেখযােগ্য কীর্তনীয়াগণ হলেন কমলা ঝরিয়া, রাধারমণ কর্মকার, রাধারাণী দাসী, গীতশ্রী ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়, নরােত্তম জানা, ললিতা দাসী প্রমুখ।


বাংলা গানের ইতিহাসে কবিওয়ালাদের অবদান সম্পর্কে যা জান লেখাে। 

অথবা, বাংলা গানে কবিগানের গুরুত্ব আলােচনা করাে। 


টপ্পা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


যাত্রাগান সম্পর্কে যা জান আলােচনা করাে। 


পক্ষীর গান সম্পর্কে যা জান আলােচনা করাে। 


যাত্রা শব্দের অর্থ ও যাত্রাপালার বিষয় ও ভাবের পরিচয় দাও। 


আধুনিক বাংলা গানের ধারায় রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর পরবর্তী সময়ের গীতিকারদের পরিচয় দাও। 


বাংলা গণসংগীতের সূচনা কোন্ ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে? এই ধারার গীতিকার, সুরকার এবং গায়কদের সম্পর্কে লেখাে। 

অথবা, বাংলা গণসংগীতের ধারা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলােচনা করাে। 

অথবা, গণসংগীত বলতে কী বােঝ? বাংলা গণসংগীতের ধারাটি আলােচনা করাে। 


বাংলা সিনেমার গান সম্পর্কে যা জান লেখাে।


আট ও নয়ের দশকে বাংলা গানে যে বিবর্তন ঘটেছিল সে সম্পর্কে যা জান লেখাে।


বাংলা গানে উচ্চাঙ্গ সংগীতের প্রভাব কতখানি বলে তুমি মনে করােযুক্তিসহ আলােচনা করাে।


বাংলা গানের মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যন্ত্রের প্রয়ােগ কতটা সফল? সহযােগী যন্ত্রীদের সম্পর্কে যা জান লেখাে। 


বাংলা গানের স্মরণীয় শিল্পীদের নাম উল্লেখ করে যে-কোনাে একজন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।