বাংলা গণসংগীতের সূচনা কোন্ ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে? এই ধারার গীতিকার, সুরকার এবং গায়কদের সম্পর্কে লেখাে।

বাংলা গণসংগীতের ধারা

শােষক শক্তির বিরুদ্ধে মানুষের যে সংগ্রাম সেখান থেকে উঠে আসা গানই গণসংগীত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এই গান সােচ্চার। মানুষের জীবনের দুঃখ, যন্ত্রণা দূর করে এক সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখায় এই গান।


আমাদের দেশে গণসংগীত শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়েছে চল্লিশের দশকের প্রথম দিক থেকে। হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কথায়—“স্বাদেশিকতার ধারা যেখানে সর্বহারার আন্তর্জাতিকতার সাগরে গিয়ে মিশেছে, সেই মােহনায় গণসংগীতের জন্ম।" এই গানের বিস্তার ঘটে খুব সহজেই। সাধারণ মানুষ এই গানের কথা আর সুরের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠে খুব সহজেই। শৃঙ্খলিত জীবন থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা জাগায় এই গান। চেনা সুরের নতুন প্রয়ােগ তাই এ গানে যেমন আছে, তেমনি বিভিন্ন ধরনের সুরের ও গায়নভঙ্গির মিশ্রণও ঘটে এই গানে। রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর এদেশে প্রলেতারীয় মতাদর্শের সূচনা হয়। অক্টোবর বিপ্লব কবি নজরুলকে সমাজতান্ত্রিক চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। ১৯২৬ সালে কৃষ্ণনগরে নিখিল বঙ্গীয় প্রজা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বঙ্গীয় কৃষক ও শ্রমিকদল’ তৈরি হয়। সৃষ্টি হতে থাকে মানুষের প্রতিবাদের গান। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সূচনাকালে ফ্যাসিবাদবিরােধী আন্দোলনের পটভূমিকাতেই গণসংগীতের জোয়ার আসে।


এই ধারার জনপ্রিয় গীতিকার এবং সুরকারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রমেন শীল, মুকুন্দ দাস, নজরুল ইসলাম, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, নিবারণ পণ্ডিত, দিনেশ দাশ, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সাধন দাস, সুভাষ মুখােপাধ্যায়, সলিল চৌধুরী, সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ। গণসংগীত যাঁদের কণ্ঠে জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তাঁরা হলেন—মুকুন্দ দাস, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, সলিল চৌধুরী, সবিতাব্রত দত্ত, অজিত পাণ্ডে, রুমা গুহঠাকুরতা, হেমন্ত মুখােপাধ্যায়, প্রতুল মুখােপাধ্যায় প্রমুখ।


বাংলা সিনেমার গান সম্পর্কে যা জান লেখাে।


আট ও নয়ের দশকে বাংলা গানে যে বিবর্তন ঘটেছিল সে সম্পর্কে যা জান লেখাে।


বাংলা গানে উচ্চাঙ্গ সংগীতের প্রভাব কতখানি বলে তুমি মনে করােযুক্তিসহ আলােচনা করাে।


বাংলা গানের মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যন্ত্রের প্রয়ােগ কতটা সফল? সহযােগী যন্ত্রীদের সম্পর্কে যা জান লেখাে। 


বাংলা গানের স্মরণীয় শিল্পীদের নাম উল্লেখ করে যে-কোনাে একজন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলা সংগীতের ধারায় রবীন্দ্র সংগীতের অবদান বিষয়ে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ধারায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ধারায় রজনীকান্ত সেনের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ধারায় গীতিকার ও সুরকার অতুলপ্রসাদ সেনের অবদান সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ইতিহাসে চারণ কবি মুকুন্দদাসের অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


বাংলা সংগীতের ধারায় কাজী নজরুল ইসলামের অবদান আলােচনা করাে। 


সুরকার ও গীতিকার সলিল চৌধুরীর কৃতিত্ব আলােচনা করাে।  

অথবা, বাংলা গানের ধারায় সলিল চৌধুরীর বিশিষ্টতা সম্পর্কে আলােচনা করাে।