সুরকার ও গীতিকার সলিল চৌধুরীর কৃতিত্ব আলােচনা করাে।
বাংলা গানের ধারায় সলিল চৌধুরীর বিশিষ্টতা
বাংলা গানে নতুন আলাের পথযাত্রী খ্যাতনামা সুরকার ও গীতিকার সলিল চৌধুরী (১৯.১২.১৯২২-৫.৯.১৯৯৫)। ভারতীয় সংগীতধারা। সম্পূর্ণরূপে আত্মস্থ করে তাকে নিজের অপূর্ব সৃষ্টি কৌশলে উপস্থাপন করেন তিনি। ছয়-সাত দশকের বাংলা গান তাঁর নতুন নতুন সুর আর কথার জাদুতে আচ্ছন্ন ছিল। ১৯৪৪-এ তিনি যুক্ত হন গণনাট্য সংঘের সাথে। তার গানে সমকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক আন্দোলন আর রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রভাব গভীরভাবে লক্ষ করা যায়।
আজাদ হিন্দ ফৌজের বিচার উপলক্ষ্যে তিনি রচনা করেছেন 'বিচারপতি তােমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা'। ঐতিহাসিক নৌবিদ্রোহের সমর্থনে লিখেছেন—‘ঢেউ উঠছে, কারা টুটছে'। তাঁর রচিত 'আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমে। চাঁদ ফুল জোছনার গান আর নয়ওগাে প্রিয় মাের, খােলাে বাহুডাের। পৃথিবী তােমারে যে চায়’ গানটির বক্তব্য অনুধাবন করলে তার সমকালের চাহিদা, সমাজতান্ত্রিক বােধের উজ্জীবন, মানুষের পাশে দাঁড়ানাের ঐকান্তিক ইচ্ছার কথা বোঝা যায়। তিনি গানের সুরারােপ কথার সাথে উপযুক্ত করে তুলেছিলেন গানের সুরকে। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বা সুকান্ত ভট্টাচার্যের বেশকিছু কবিতায় সুরারােপ করে সেগুলিকে গান হিসেবে কালজয়ী করে দিয়েছেন সলিল চৌধুরী। হিন্দি আধুনিক গান, সিনেমার গান রচনাতেও সিদ্ধহস্ত ছিলেন তিনি। তার সমকালীন সমস্ত খ্যাতনামা ভারতীয় সংগীতশিল্পীই তাঁর রচিত ও সুরারােপিত গান গেয়েছেন। বাংলা গানকে একক প্রচেষ্টাতেই তিনি নিয়ে গেছেন সম্পূর্ণ নতুন পথে, যে পথ চির-আধুনিক।
লােকগান বলতে কী বােঝ? এর বিষয় বৈচিত্র্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, বাংলা লােকসংগীতের ধারার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
অথবা, বাংলা লােকসংগীত সম্পর্কে আলােচনা করাে।
ভাওয়াইয়া-চটকা গান সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলােচনা করাে।
চটকা গানের বিশিষ্টতা আলােচনা করে ভাওয়াইয়ার সঙ্গে এর মিল ও অমিলগুলি নির্দেশ করাে।
ভাটিয়ালি গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা লােকসংগীতের ধারায় সারিগানের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে।
ঝুমুর গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাউল সংগীত সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
জারিগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
জারিগান ও জারিনাচ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাংলা গানের ইতিহাসে মান্না দের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পাল রাজবংশের পরিচয় দাও।
পালযুগের চিত্রকলার পরিচয় দাও।