ঝুমুর গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।

ঝুমুর গান

লােকগানের সবথেকে আকর্ষণীয় দিক তার স্বতঃস্ফূর্ততা আর অকৃত্রিম সুর। বিশেষ করে ঝুমুর গানে এই সুরের মূর্ছনা এক অপূর্ব মাতন সৃষ্টি করে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আসামের কিছু অংশ ঝুমুর বলয়। ঝুমুর মূলত প্রেমসংগীত। কৃষ্ণরাধার প্রেমই ধর্ম ছাপিয়ে বাঙালির জীবনে প্রেমের রূপ পায়। তার ফলে বহুক্ষেত্রে লােকায়ত জীবনে এই গান নারী-পুরুষের প্রেম প্রকাশের মাধ্যম। ঝুমুর তাই এক মৃত্তিকাশ্রয়ী, বর্ণময় ভাব ও রসবৈচিত্রযুক্ত গান। ভারতবর্ষের লােকসংগীতের পরিপ্রেক্ষিতেও অনন্য। এ গানের ঐতিহ্য অতি প্রাচীন। প্রধানত কুর্মী, ওরাওঁ, সাঁওতাল, ভূমিজ, মুন্ডা, হাে, বাউরি, হাড়ি, বাজায়ার প্রভৃতি আদিবাসীদের সমাজে ঝুমুর প্রাণের সম্পদ। তারা এ গান মাদল, ধামসা, বাঁশি, ঘুঙুর, খােল, চেরাপেটি, সহযােগে গায়। ঝুমুরের সুরের সাথে সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ একদম মিলে যায়। লালমাটি, পাথর, ঢেউখেলানাে জমি, বনাঞ্চল, শাল, কুসুম, শিমুল, মহুয়া, আর পলাশ। আর রয়েছে টিলা, পাহাড়ি নদীর বাঁক।


প্রাথমিকভাবে ঝুমুরকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়-

  • লৌকিক ও
  • দরবারি।

প্রয়ােগগত দিক থেকে ঝুমুর ছয় রকম-

  • নাচনি নাচের ঝুমুর,
  • টাড় ঝুমুর,
  • ছৌ নাচের ঝুমুর,
  • খেমটা নাচের ঝুমুর,
  • করম নাচের ঝুমুর আর,
  • পাতা নাচের ঝুমুর।

গানে অধ্যাত্মভাবনা যেমন আছে, তেমনি আছে সামাজিক রীতিনীতি, জীবনযাপন চিত্র, অভাব, লড়াইয়ের। আহবান, পুরাণ, রাজনীতি, ইতিহাস, আর সব ছাপিয়ে প্রেম। সে প্রেম লৌকিক এবং তাতে দেহেরই প্রাধান্য। ষােড়শ শতকে প্রাচীন সংগীতবিষয়ক গ্রন্থ 'সংগীত দামােদর’-এ ঝুমুর এবং সংজ্ঞাদান প্রসঙ্গে শৃঙ্গার রসের আধিক্যের কথাই বলা হয়েছে। একটি ঝুমুর গানে দেখি—

“চোখে চোখে ইশারাতে আর মনের কথা বলি তােমাকে,

রসিক যে জন বুঝবে সে জন আমার মনের বেদনা।

ও আমার যৌবন জ্বালা বড় জ্বালা বঁধু বিধেছে মদনা।"

উল্লেখযােগ্য ঝুমুর পদকর্তা জগৎ কবিরাজ, গদাধর চৌধুরী, ভবপ্রীতানন্দ ওঝা, রামকৃয় গাঙ্গুলি, সৈকত রক্ষিত প্রমুখ।


বাউল সংগীত সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


জারিগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


জারিগান ও জারিনাচ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ইতিহাসে মান্না দের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পাল রাজবংশের পরিচয় দাও। 


পালযুগের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 


বাংলাদেশে সুলতানি শাসনকালের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 


বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে মুরশিদাবাদ শৈলীর গুরুত্ব ও অবদান আলােচনা করাে। 


কোম্পানি শৈলীর মুরশিদাবাদ পর্বের পরিচয় দাও। 


কোম্পানি শৈলী : কলকাতা পর্বের পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে। 


চিত্রকলা শিক্ষাচর্চার সূত্রপাত ও প্রসারে দি ইন্ডিয়ান সােসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এর ভূমিকা আলােচনা করাে। 


বাঙালি চিত্রকলা চর্চার ধারায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচির অবদান আলােচনা করাে।