কোম্পানি শৈলীর মুরশিদাবাদ পর্বের পরিচয় দাও।
মিরজাফরের উত্তরসূরি মিরকাশিম ইংরেজদের কাছে পরাজিত হলে তারা মিরজাফরকেই আবার মুরশিদাবাদের মসনদে বসায়। এর মধ্যে দিয়ে নবাবি মসনদের অমর্যাদাও মুরশিদাবাদ শৈলীর অবক্ষয় সূচিত হয়। বৈচিত্র্য আর সৃজনশীলতা ভুলে শিল্পীরা জনরুচিকে প্রাধান্য দিয়ে নবাব-বাদশার আলেখ্যচিত্রের রূপায়ণে যত্নবান হলেন। ১১৭৬-এর ভয়াবহ মন্বন্তরের প্রভাবে মুরশিদাবাদ শৈলীর ধারাও অবলুপ্ত হয়। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পী মুঘল ও পাশ্চাত্য রীতির সমন্বয়ে এক নতুন শৈলী গড়ে তুললেন— যার নাম দেওয়া হল কোম্পানি শৈলী। এই শৈলীর প্রথম ছবি মুরশিদাবাদেই দেখা যায়। প্রথমদিকে মুঘল-পরম্পরা শৈলীতে শিল্পীরা মুঘল বাদশা, বাংলা আর অযােধ্যার নবাব, শাসকদের প্রতিকৃতির ছবি আঁকলেও পরে ক্রমশ তারা পাশ্চাত্য চিত্ররীতির প্রতি আকৃষ্ট হন।
ইংরেজ শাসনাধীন ভারতবর্ষে কোম্পানি শৈলীর চিত্রকলা অর্থাৎ দেশজ ও ইউরােপীয় শৈলীর মিশ্রিত চিত্রকলা প্রথম আঁকা হয় তাঞ্জোরে। অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে মুরশিদাবাদে এই শৈলীর আবির্ভাব ঘটে। ক্রমে তা কলকাতা, পাটনা, কটক, ছাপড়া, আরা, বারাণসী, লখনউ, দিল্লি, আগ্রায় ছড়িয়ে পড়ে। শিল্পীরা এই পর্বে প্রধানত পােশাক, বাজারহাট, যানবাহন, উৎসব, মন্দির-দেবদেবী আর কারুকার্যের ছবিতে জীবনধারার বাস্তবনিষ্ঠ পরিচয়টিকে ফুটিয়ে তুলেছেন। কোম্পানি শৈলীতে ক্রমে পাশ্চাত্যরীতির অনুসরণে শিল্পীরা চিত্রপটকে সিপিয়ার নানা মাত্রার রঙে রঙিন করে তুললেন, ছবিতে কালাে বর্ডার জুড়লেন, ছবির আকারকেও বড়াে করে তুললেন। মুরশিদাবাদের চিত্রকরেরা কাগজ ছাড়াও অভ্রের পাতের উপর নানা যানবাহন, পােশাক, শােভাযাত্রা, উৎসবের ছবি মিনিয়েচার ফর্মে আঁকতেন। উনিশ শতকের সূচনায় কলকাতা ব্যাবসাবাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে থাকলে মুরশিদাবাদের গুরুত্ব ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে।
কোম্পানি শৈলী : কলকাতা পর্বের পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে।
বাঙালি চিত্রকলা চর্চার ধারায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচির অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে নন্দলাল বসুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, চিত্রকলাচর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় চিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় যামিনী রায়ের ভূমিকা কতখানি তা বুঝিয়ে দাও।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশিষ্ট্য ও স্বাত্ত্র্য আলােচনা করাে।
বাংলা চিত্রকলা চর্চার ধারায় অসিতকুমার হালদারের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে রামকিঙ্কর বেইজের অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় বিনােদবিহারী মুখােপাধ্যায়ের অবদান আলােচনা করাে।
চিত্রশিল্পী হেমেন মজুমদারের চিত্রকলার পরিচয় দাও।