পালযুগের চিত্রকলার পরিচয় দাও।

পালযুগের চিত্রকলা

বাংলার প্রাচীনতম ছবির নিদর্শন পাওয়া যায় পালরাজা প্রথম মহিপালদেবের শাসনকালের ষষ্ঠ বছরে। আনুমানিক ৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে নালন্দা মহাবিহারে লেখা 'অষ্টসহস্রিকা প্রজ্ঞাপারমিতা' পুথির বারােটি রঙিন ছবি তালপাতার উপরে আঁকা হয়েছিল। তার আমলের আঁকা আরও দুটি পুথি এবং পালরাজাদের দীর্ঘ সাড়ে চারশাে বছরের শাসনপর্বের বহু পুথিচিত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও তাদের আমলে স্থাপত্য, ভাস্কর্য ও চিত্রকলার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি হয়। ধর্মপাল দক্ষিণবিহারের ওদন্তপুরী ও বিক্রমশীলা আর উত্তরবঙ্গের সােমপুর বিহারের সংস্থাপক ছিলেন। দেবপাল, প্রথম মহিপাল ছিলেন নালন্দা মহাবিহারের পৃষ্ঠপােষক, যেখানে তাঁদের সময়কালীন বহু প্রস্তর ও ধাতুর মূর্তির সন্ধান মিলেছে।


এ ছাড়াও মহাযানপন্থী বৌদ্ধ পালরাজাদের শাসনকালে আঁকা ছবিতে ত্ত্রযানী, বঞ্জযানী ও কালচক্রযানী দেবদেবীর প্রতিমার উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ধর্মপাল ও দেবপালের সমসাময়িক ইতিহাসবিখ্যাত ভাস্কর তথা চিত্রশিল্পী ধীমান ও তার পুত্র বিটপাল পূর্বদেশীয় এবং মধ্যদেশীয় রীতিতে ছবি আঁকেন। পালযুগের পুথিচিত্রে গৌতম বুদ্ধের জীবনের প্রধান আটটি ঘটনার বিবরণ পাওয়া যায়। এগুলি হল—১) লুম্বিনী বনে জন্ম, (২) বুদ্ধগয়ায় বােধিলাভ, (৩) সারনাথে ধর্মচক্র প্রবর্তন, (৪) কুশীনগরে মহাপরিনির্বাণ, (৫) শ্রাবন্তী নগরে অলৌকিক ক্রিয়া প্রদর্শন, (৬) সঙ্কাশ্যে স্বর্গাবতরণ, (৭) রাজগৃহে নালগিরি বশীকরণ এবং (৮) বৈশালীর আম্রবনে বানরের মধুদান। প্রহণ। এ ছাড়াও এ যুগের চিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে মহাযান বজ্রযানসম্মত দেবদেবীর প্রতিকৃতি, যার মধ্যে রয়েছেন প্রজ্ঞাপারমিতা, তারা, লােকনাথ, মৈত্রেয়, মহাকাল, বজ্রপাণি, বসুধারা প্রমুখ। অবশ্য ভারতীয় চিত্রকলার পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে গুপ্ত সম্রাটদের শাসনকালে (৩২০-৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ)।


বাংলাদেশে সুলতানি শাসনকালের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 


বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে মুরশিদাবাদ শৈলীর গুরুত্ব ও অবদান আলােচনা করাে। 


কোম্পানি শৈলীর মুরশিদাবাদ পর্বের পরিচয় দাও। 


কোম্পানি শৈলী : কলকাতা পর্বের পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে। 


চিত্রকলা শিক্ষাচর্চার সূত্রপাত ও প্রসারে দি ইন্ডিয়ান সােসাইটি অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এর ভূমিকা আলােচনা করাে। 


বাঙালি চিত্রকলা চর্চার ধারায় অন্নদাপ্রসাদ বাগচির অবদান আলােচনা করাে। 


বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে নন্দলাল বসুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, চিত্রকলাচর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করাে। 


বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় চিত্রশিল্পী হিসেবে গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় যামিনী রায়ের ভূমিকা কতখানি তা বুঝিয়ে দাও। 


বাঙালির চিত্রকলা চর্চার ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৈশিষ্ট্য ও স্বাত্ত্র্য আলােচনা করাে। 


বাংলা চিত্রকলা চর্চার ধারায় অসিতকুমার হালদারের অবদান আলােচনা করাে।