ভাওয়াইয়া-চটকা গান সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলােচনা করাে।

নরনারীর জীবনপ্রবাহ, প্রেম, বিরহ ব্যাকুলতা, যৌন আবেগ, নারীর বাল্যবিবাহ প্রথা এবং জীবনযন্ত্রণা—এসব নিয়েই ভাওয়াইয়া গান। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দিনাজপুরের উত্তরাংশ, বাংলাদেশের রংপুর, আসামের গােয়ালপাড়া ও ধুবড়ি— এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের নিজস্ব সংগীত ভাওয়াইয়া। এই অঞ্চলের রাজবংশী (বা কামরূপী) ভাষায় পরিবেশিত হয় এই গান। ভাওয়াইয়া গান কারও কাছে মন উদাস করা গান, কারও কাছে ভাবের গান, কেউ আবার এই গানকে বলেন, বায়ুবাহিত গান। আসলে উদাস মনে উদাত্ত কণ্ঠে এই গান পাওয়া হয়। ওই অঞলের প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রভাবিত মানুষের প্রধানত প্রেমজীবনের বিভিন্ন দিকের প্রকাশ ঘটে এই গানে।


মানবজীবনের নানা স্বাভাবিক প্রবৃত্তিই এই গানের বিষয়। এখানে রয়েছে তত্ত্বকথা, অর্থনৈতিক সমস্যা, জীবনের জটিলতা, শােষণ, দারিদ্র্য, মানবজীবন দর্শন, বাল্যবিবাহ, সঙ্গিনী প্রথা, হুদুমদেও নামক জাদু অনুষ্ঠান, সমাজের গিরিজা ব্যবস্থা, কাতি ও ষাইটোল পূজা, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা ইত্যাদি। এই গানের মুখ্য বিষয় নরনারীর প্রেম। নায়ক সাধু, মৈশাল বন্ধু, মাহুত বন্ধু, বৈদ্য, রাখাল বন্ধু প্রভৃতি চরিত্রের কথা এই গানে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। একটি ভাওয়াইয়া গান "ও মাে চান্দরে, ও মাের সােনা-আজি ছাড়িয়া না যান বৈদ্যাশ বন্দরেরে। যবাইতে চান্দ তুমি ফুটিবে জলে সুন্দি হােলা ফুটিবে তাতে মন মাের হতাশে উড়াইরে মাের, সােনারে" -গানটিতে এক নারী তার পুরুষ জীবনসঙ্গীর আসন্ন বিচ্ছেদে বাধা দিতে চায়। কারণ, সঙ্গলাভেই তার চরম প্রাপ্তি, বিরহ-বিচ্ছেদে তার যন্ত্রণা। নারীমনের ভালােবাসার বােধ এই গানে প্রকাশিত। এইভাবেই মানবপ্রেম জীবন্ত আর জ্বলন্ত হয়ে উঠেছে ভাওয়াইয়া গানে। সাহিত্যিক আর সাংগীতিক উভয় গুণে এই গান অতুলনীয়। এই গানের প্রথিতযশা শিল্পী আব্বাসউদ্দিন। এ ছাড়াও এই গানের অন্যতম সাধক সুরেন্দ্রনাথ রায় বসুনিয়ার (১৯০৬-৭০ খ্রি.)।


চটকা গানের বিশিষ্টতা আলােচনা করে ভাওয়াইয়ার সঙ্গে এর মিল ও অমিলগুলি নির্দেশ করাে। 


ভাটিয়ালি গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা লােকসংগীতের ধারায় সারিগানের ভূমিকা বিশ্লেষণ করাে। 


ঝুমুর গান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাউল সংগীত সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


জারিগান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


জারিগান ও জারিনাচ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ইতিহাসে মান্না দের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পাল রাজবংশের পরিচয় দাও। 


পালযুগের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 


বাংলাদেশে সুলতানি শাসনকালের চিত্রকলার পরিচয় দাও। 


বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে মুরশিদাবাদ শৈলীর গুরুত্ব ও অবদান আলােচনা করাে।