বাংলা গানে উচ্চাঙ্গ সংগীতের প্রভাব কতখানি বলে তুমি মনে করােযুক্তিসহ আলােচনা করাে।

ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীতের আলােচনার ক্ষেত্রে মূলত যে পদ্ধতিগুলির পরিচয় পাওয়া যায়, তার মধ্যে রয়েছে- (১) ধ্রুপদ, (২) খেয়াল, (৩) টপ্পা, (৪) ঠুংরি, (৫) ধামার প্রভৃতি। এর মধ্যে আবার ধ্রুপদ এবং খেয়াল প্রথম সারিতে। মুঘলসম্রাট আকবরের রাজসভার শিল্পী তানসেনের কণ্ঠেই ধ্রুপদের বিকাশ। মুঘল যুগের অবসানে ধ্রুপদরিল্পীরা ভারতবর্ষের নানা প্রদেশে আশ্রয় নিলেন এবং এই ধারা প্রতিষ্ঠা করলেন। বেতিয়া, বিয়ুপুর, ত্রিপুরা, ঢাকা, মেটিয়াবুরুজ এবং অন্যত্রও ধ্রুপদ ক্রমে ক্রমে প্রসিদ্ধি পেল। বাংলায় বিয়ুপুরী ধ্রুপদধারাই বিশেষভাবে সমাদৃত হয়।


বঙ্গদেশে একটা সময় ধ্রুপদ এবংটপ্পাই উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রধান উপকরণ ছিল। এ ছাড়াও ঢপখেয়াল নামে একধরনের গীতিরীতিরও প্রচলন ছিল। দ্রুত লয়ের খেয়াল সে-যুগে কখনাে-কখনাে শােনা যেত। তবুও ধ্রুপদ গায়নরীতিটাই বাংলাসংগীতের ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীনতম শাস্ত্রীয় গীতশৈলী। রাগরাগিণীর ব্যাপারেও বাংলাগানে দরবারি ধ্রুপদের মতন সর্বপ্রকার রাগব্যবহৃত হত। কিন্তু প্রবন্ধ-প্রুপদে ব্যবহৃত হত অসংখ্য 'দেশি'রাগ। এটি বাংলা কীর্তনাদি নাট্যসমন্বিত গানে ব্যবহৃত হলেও বাংলা কাব্যসংগীতে তার দেখা খুব বেশি মেলেনি। প্রবন্ধ-গান বা পদগান মূলত নাট্যাশ্রয়ী হলেও দরবারি ধ্রুপদ-গান কিন্তু নাট্যাশ্রয়ী নয়।


বাংলা পদাবলি কীর্তনের পদগুলি শ্রীকৃয়ের জীবনালেখ্যকে অবলম্বন করে নানা পালার আকারে রচিত। এগুলিতে গাওয়ার রীতি উল্লেখিত আছে।তবু বাংলা কাব্যসংগীতে এমনটি হয় না। এক্ষেত্রে একটিমাত্র মূল বিষয়কে অবলম্বন করে তা রচিত ও গীত হয়। উনিশ শতকে ব্রাত্যসমাজ প্রতিষ্ঠার পর ব্রাত্মধর্মের উপাসনার অঙ্গ হিসেবে ব্ৰায়সংগীত গাওয়া হত। এই গান প্রধানত ধ্রুপদের আঙ্গিকেই রচিত। ধ্রুপদকেই আরাধনার সংগীতশৈলীরূপেব্যবহার করা হত। অন্যদিকে খেয়াল, টপ্পায়, এমনসব গীত অলংকার ব্যবহৃত হয় যেগুলি। ধ্যানধর্মী নয়। এ ছাড়াও চৈতন্যযুগের কীর্তনগান, অষ্টাদশ শতক থেকে শুরু হওয়া বাউলগান এবং তৎপরবর্তী রবীন্দ্রনাথ, নজরুলের গান, আধুনিক বাংলা গানে নানাভাবেই উচ্চাঙ্গ সংগীতের প্রয়ােগ ঘটেছে।


বাংলা গানের মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যন্ত্রের প্রয়ােগ কতটা সফল? সহযােগী যন্ত্রীদের সম্পর্কে যা জান লেখাে। 


বাংলা গানের স্মরণীয় শিল্পীদের নাম উল্লেখ করে যে-কোনাে একজন সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ধারায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলা সংগীতের ধারায় রবীন্দ্র সংগীতের অবদান বিষয়ে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ধারায় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ধারায় রজনীকান্ত সেনের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ধারায় গীতিকার ও সুরকার অতুলপ্রসাদ সেনের অবদান সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলােচনা করাে। 


বাংলা গানের ইতিহাসে চারণ কবি মুকুন্দদাসের অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


বাংলা সংগীতের ধারায় কাজী নজরুল ইসলামের অবদান আলােচনা করাে। 


সুরকার ও গীতিকার সলিল চৌধুরীর কৃতিত্ব আলােচনা করাে।  

অথবা, বাংলা গানের ধারায় সলিল চৌধুরীর বিশিষ্টতা সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


লােকগান বলতে কী বােঝ? এর বিষয় বৈচিত্র্য সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, বাংলা লােকসংগীতের ধারার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

অথবা, বাংলা লােকসংগীত সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


ভাওয়াইয়া-চটকা গান সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ আলােচনা করাে। 


চটকা গানের বিশিষ্টতা আলােচনা করে ভাওয়াইয়ার সঙ্গে এর মিল ও অমিলগুলি নির্দেশ করাে।