বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারীর অবদান আলােচনা করাে।

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারীর অবদান

কর্নেল সি. আই. ই. সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারী ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বৌবাজার স্কুল, হেয়ার স্কুল, প্রেসিডেন্সি কলেজ, সেন্ট্রাল কলেজ এবং মেডিকেল কলেজে শিক্ষাগ্রহণ করেন। মেডিসিন ও সার্জারিতে অনার্স-সহ এম বি এবং এম ডি ডিগ্রি লাভ করে মেয়াে হাসপাতালে কিছুদিন অধ্যাপনার পর তিনি স্বাধীনভাবে চিকিৎসার কাজ শুরু করেন। বহু দুরূহ ও জটিল অস্ত্রোপচার করে তিনি অসামান্য খ্যাতি ও প্রতিপত্তি অর্জন করেন। ইউরােপীয় চিকিৎসকদের সমমর্যাদায় দেশীয় চিকিৎসকদের প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি নিরলস চেষ্টা করেছেন।


১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে মেডিকেল কলেজে যথেষ্ট ছাত্রের জায়গা না হওয়ায় তিনি নীলরতন সরকার, কালীকৃয় বাগচি, অমূল্যচরণ বসু প্রমুখ চিকিৎসকেরা মিলে 'College of Surgeons and Physicians of Bengal' নামে ভারতে প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ গড়ে তােলেন। এটি পরে বেলগাছিয়া অ্যালবার্ট ভিক্টর হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত হয়। ১৯১৬-তে সেই প্রতিষ্ঠানটিই কারমাইকেল মেডিকেল কলেজে (বর্তমান আর জি কর) রূপান্তরিত হয়। সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারী এই কলেজের পরিচালন সমিতির প্রথম সভাপতি ছিলেন।


এ ছাড়া প্রথম সর্বভারতীয় চিকিৎসক সম্মেলনের সহসভাপতি এবং ২৫ বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলাে এবং সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তিনি মেডিকেল কলেজের অবৈতনিক ইনস্পেকটর নিযুক্ত হন। ইউরােপের যুদ্ধের সময় 'বেঙ্গল অ্যাম্বুলেন্স কোর' গঠনের উদ্যোগের জন্য তিনি আই এম এস-এর লেফটেন্যান্ট কর্নেল উপাধিতে ভূষিত হন। কলকাতা 'ইউনিভার্সিটি কোর'ও তিনি নিজের হাতে গড়েছেন। পরবর্তীকালে তার সুযােগ্য পুত্র কনকচন্দ্র সর্বাধিকারী কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ ডা. সুরেশপ্রসাদ সর্বাধিকারী পরলােক গমন করেন।


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চুনীলাল বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিধানচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গিরীন্দ্রশেখর বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গােলকচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে শিবচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পের প্রসারে সীতানাথ ঘােষের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাজকৃষ্ণ কর্মকারের অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পের প্রসারে কালিদাস শীলের ভূমিকা পর্যালােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলমণি মিত্রর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পোদ্যোগের ইতিহাসে উপেন্দ্রকিশাের রায়-চৌধুরীর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্প প্রচারে সুকুমার রায়ের উদ্যোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করাে।