বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গােলকচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে।

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গােলকচন্দ্র নন্দীর অবদান

প্রথম ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার গােলকচন্দ্র নন্দীর আদি বাসস্থান ছিল চব্বিশ পরগনার টিটাগড়ে। উইলিয়াম কেরির উৎসাহেই এই সুদক্ষ কর্মী শ্রীরামপুরের কাগজকলের কাজে নিয়ােজিত হয়ে প্রথম বাষ্পীয় ইঞ্জিনটি পর্যবেক্ষণের সুযােগ লাভ করেন। পরবর্তীকালে তিনি সেই যন্ত্রটির অনুকরণে কোননারকম বিদেশি সাহায্য বা বিদেশি উপকরণ ছাড়াই একটি ছােটো আকারের বাষ্পের ইঞ্জিন তৈরি করেছিলেন। তার তৈরি বাষ্পীয় ইঞ্জিনটি সম্পর্কে উইলিয়াম কেরিরই উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এগ্রি হর্টিকালচারাল সােসাইটির ৯ জানুয়ারি, ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের অধিবেশনের কার্যাবলির বিবরণ থেকে বিস্তারিত জানা যায়। তারই পরামর্শে গােলকচন্দ্রকে সেই ইঞ্জিনটি এগ্রি- হর্টিকালচারাল সােসাইটির দ্বিতীয় বার্ষিক প্রদর্শনীর সময় সকলের সামনে পেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়। ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি কলকাতার টাউন হলে প্রদর্শনীটি শুরু হলে গােলকচন্দ্র তার ইঞ্জিনটি দিয়ে পাম্প চালিয়ে ও জল তুলে সকলকে অবাক করে দেন।


গােলচন্দ্রের প্রায় একই সময়ে ফোর্ট গ্লস্টারের (বাউরিয়া) মিস্টার ম্যাট একটি চার-অশ্বক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরি করেন। এটি ভারতে নির্মিত প্রথম বাষ্পীয় ইঞ্জিন, যা জলযান চালানাের কাজে ব্যবহৃত হয়। উপনিবেশকে স্বনির্ভর হতে না দেওয়াই যেখানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মূল লক্ষ্য, সেই পরিস্থিতিতেও গােলকচন্দ্রের বাষ্পীয় ইঞ্জিন সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে নির্মাণের এই উদ্যোগ বাঙালির শিল্পসাধনার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে।


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে শিবচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পের প্রসারে সীতানাথ ঘােষের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাজকৃষ্ণ কর্মকারের অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পের প্রসারে কালিদাস শীলের ভূমিকা পর্যালােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলমণি মিত্রর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পোদ্যোগের ইতিহাসে উপেন্দ্রকিশাের রায়-চৌধুরীর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্প প্রচারে সুকুমার রায়ের উদ্যোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে হেমেন্দ্রমােহন বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রসিকলাল দত্তের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে বিপিনবিহারী দাসের অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রমথনাথ বসুর অবদান আলােচনা করাে।