বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর অবদান আলােচনা করাে।

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দীর অবদান

নিষ্ঠাবান ব্রায় চিকিৎসক এবং স্বদেশি শিল্পোদ্যোগী ড. মহেন্দ্রচন্দ্র নন্দী ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে ত্রিপুরার কালীকচ্ছে জন্মগ্রহণ করেন। এন্ট্রান্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা কলেজ থেকে তিনি এলএ পাস করে কলকাতা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল স্কুলে তিন বছর শিক্ষকতা করেন। এরপর নিজগৃহে হােমিওপ্যাথি চিকিৎসা করে প্রভূত সুনাম অর্জন করেন। কলকাতায় থাকাকালীন তিনি ছাপাখানার কালি, কাপড়ের কল, দেশলাই কল তৈরিতে যত্নবান হন। নিজের কারখানায় তৈরি কাপড় ও দেশলাই হিন্দুমেলায় প্রদর্শন করে মহেন্দ্রচন্দ্র সকলকে চমৎকৃত করেন। তার কারখানায় তৈরি লেখার কালি কলকাতায় রায় ব্রাদার্স ইঙ্ক’নামে বিক্রি হত।


কালীকচ্ছে মহেন্দ্রচন্দ্রের লােহার কারখানায় আটবিঘা জমিতে ছুরি, কাঁচি, দা, কাটারি তৈরি হত। কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেলেও নিজের বাড়িতে তিনি অনুরূপ ব্যবস্থা গড়ে তােলেন। প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি দেশলাইয়ের কাঠি ও বাক্স নির্মাণের যন্ত্র আবিষ্কার করে তার কারখানা তৈরি করেন। স্বদেশি যুগে বহু জায়গায় তাঁর আবিষ্কৃত কলের সাহায্যে কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ঝিনুকের এবং নারকেল মালার বােতাম তৈরির কারখানাও তিনি নিজের বাড়িতে স্থাপন করেছিলেন। তিনি সহজে কাপড়-বােনার শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তােলেন। তার বাড়িতেই চরকায় সুতাে কাটা, তাতে কাপড় বােনা হত। তার এইসব কাজ ও স্বদেশি প্রচার-উদ্যোগ বহু মনীষীরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মহেন্দ্রচন্দ্রের পরলােক গমনের পর তাঁর বাড়িতেই 'মহেন্দ্রচন্দ্র অনাথ আশ্রম’ গড়ে ওঠে।


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাজকৃষ্ণ কর্মকারের অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পের প্রসারে কালিদাস শীলের ভূমিকা পর্যালােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলমণি মিত্রর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পোদ্যোগের ইতিহাসে উপেন্দ্রকিশাের রায়-চৌধুরীর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্প প্রচারে সুকুমার রায়ের উদ্যোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে হেমেন্দ্রমােহন বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রসিকলাল দত্তের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে বিপিনবিহারী দাসের অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রমথনাথ বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


মুদ্রণ শিল্প ও পুস্তক প্রকাশনার ইতিহাসে পি. এম. বাগচি অ্যান্ড কোং-এর গুরুত্ব আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে।