বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাজকৃষ্ণ কর্মকারের অবদান আলােচনা করাে।

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রাজকৃষ্ণ কর্মকারের অবদান

হাওড়া জেলার দফরপুরে ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে রাজকৃয় কর্মকার জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাধবচন্দ্র কর্মকার। প্রথাগত বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ না করলেও নিজের বুদ্ধি, অধ্যবসায় ও দক্ষতার গুণে কলকারখানার কাজে তিনি প্রভূত ব্যুৎপত্তি অর্জন করেন। তিনি কাশীপুর ও দমদম গান-ফ্যাক্টরিতে কামান-বন্দুকের কাজ শেখেন এবং হেডমিস্ত্রি হন। পলতার জলকল, ঘুসুড়ির চটকল, বালির কাগজকল ইত্যাদি স্থানেও তিনি চাকরি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তিনি সিমলা পাহাড়ের কাছে কসৌলিতে ছয় অশ্বশক্তিসম্পন্ন বাষ্পীয় বয়লার স্থাপন করেন। এর মাধ্যমে একযােগে তিনটি বেকারি চালানাের পরিকাঠামাে তৈরি করা সম্ভব হয়। ১২৭৬ বঙ্গাব্দে রাজকৃয় টাকশালের চাকরি নিয়ে নেপাল যান এবং তিনিই প্রথম সেখানে যন্ত্রের সাহায্যে মুদ্রা তৈরি করেন। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আনিয়ে তিনি সেখানে বন্দুকের কারখানা গড়ে তােলেন।


নেপালরাজের মৃত্যুর পর কাবুলের আমির আবদার রহমানের আহবানে কাবুলে যান এবং সেখানেও ক্রমে কামান-বন্দুকের কারখানা গড়ে তােলেন। ১২৯১ বঙ্গাব্দে তিনি আবার নেপালে ফিরে এসে তার পূর্বপ্রতিষ্ঠিত বন্দুক কারখানার উন্নতিসাধনে তৎপর হয়ে ওঠেন। সেখানে বৈদ্যুতিক আলাের প্রচলনে, কাঠের কারখানা গড়ে তােলায়, উন্নতমানের কামান, কামানের গাড়ি এবং মেশিনগান তৈরির ক্ষেত্রে তার অবদান অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। নেপাল-মহারাজার কাছ থেকে তিনি 'কাপ্তেন’ উপাধি এবং নানাবিধ বহুমূল্য পুরস্কার লাভ করেন।


স্বদেশি শিল্পের প্রসারে কালিদাস শীলের ভূমিকা পর্যালােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে নীলমণি মিত্রর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্পোদ্যোগের ইতিহাসে উপেন্দ্রকিশাের রায়-চৌধুরীর অবদান আলােচনা করাে। 


স্বদেশি শিল্প প্রচারে সুকুমার রায়ের উদ্যোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে হেমেন্দ্রমােহন বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রসিকলাল দত্তের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে বিপিনবিহারী দাসের অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রমথনাথ বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


মুদ্রণ শিল্প ও পুস্তক প্রকাশনার ইতিহাসে পি. এম. বাগচি অ্যান্ড কোং-এর গুরুত্ব আলােচনা করাে। 


বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলােচনা করাে। 


বাঙালির বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে। 


বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের অবদান আলােচনা করাে।