'বাংলার কীটপতঙ্গ’ গ্রন্থের রচয়িতা কে? বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গােপালচন্দ্র ভট্টাচার্যের অবদান আলােচনা করাে।

বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে গােপালচন্দ্র ভট্টাচার্যের অবদান

বাংলার কীটপতঙ্গ গ্রন্থটির রচয়িতা গােপালচন্দ্র ভট্টাচার্য।


প্রকৃতিপ্রেমিক, স্বভাববিজ্ঞানী গােপালচন্দ্র ভট্টাচার্য বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্গত ফরিদপুর জেলার লেনসিংহ গ্রামে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। দারিদ্র্যের সঙ্গে নিরন্তন সংগ্রামের পাশাপাশি চলে তার সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা, গানের দল তৈরি করা, প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ। ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে গােপালচন্দ্র রচিত পচা গাছপালার আশ্চর্য আলাে বিকিরণ ক্ষমতা শীর্ষক প্রবন্ধটি প্রবাসী পত্রিকায় মুদ্রিত হয়। এরপর তিনি জগদীশচন্দ্র বসুর সান্নিধ্যে আসেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে গােপালচন্দ্র বসু বিজ্ঞান মন্দিরে রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টের পদে যােগ দেন। জগদীশচন্দ্রের নির্দেশে বটানি জুলজির গবেষণা ছাড়াও গােপালচন্দ্র ছবি এঁকেছেন, ফটোগ্রাফিচর্চা করেছেন, ইলেকট্রিকের কাজকর্ম শিখেছেন, মােটর মেকানিক্সে হাত পাকিয়েছেন, শিখেছেন ব্লক মেকিং, ব্ল্যাকস্মিথের কাজ, কার্পেন্ট্রি।


মাকড়সা, পিপড়ে, প্রজাপতি, শুঁয়ােপােকা, মাছ ও ব্যাঙাচি নিয়ে মৌলিক গবেষণা করে তিনি দেশে-বিদেশে উচ্চ প্রশংসিত হয়েছেন। গবেষণালব্ধ বিষয় নিয়ে গােপালচন্দ্র বাংলায় ও ইংরাজিতে অজস্র প্রবন্ধ লিখেছেন। দেশে বিজ্ঞান-প্রচারে তিনি বিশিষ্ট ভূমিকা গ্রহণ করেন। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার জন্য ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি 'আনন্দ' পুরস্কার পান। গােপালচন্দ্র বিজ্ঞানপ্রচারের জন্য ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে 'আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু ফলক’ এবং বাংলার কীটপতঙ্গ গ্রন্থ রচনার জন্য ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে 'রবীন্দ্র' পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিলিট উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি ভারতকোষ এবং সরকারি পরিভাষা সংসদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৮১ খ্রিস্টাব্দের ৮ এপ্রিল তিনি পরলোক গমন করেন।


বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যের অবদান আলােচনা করাে। 


বাঙালির ক্রীড়া সংস্কৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। প্রত্যেক ধরনের খেলার নাম উল্লেখ করাে। 


বাঙালির কুস্তিচর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

অথবা, আমাদের মহাকাব্যে কুস্তি কী নামে পরিচিত ছিল? সংক্ষেপে বাঙালির কুস্তিচর্চার পরিচয় দাও। 


বাংলার কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহের অবদান আলোচনা করো। 


বাঙালির ক্রীড়া ঐতিহ্যে ফুটবলের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল? এই পর্বের ফুটবলের সঙ্গে কোন্ বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের নাম জড়িয়ে আছে? বাংলার ফুটবলের কোন্ ঘটনা, কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উজ্জীবিত করেছিল? 


ফুটবল খেলায় বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। 

অথবা, বাঙালির ফুটবল চর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 


প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে আই এফ এ শিল্ড জয়ী মােহনবাগান ক্লাবের ইতিহাস পর্যালােচনা করাে। 


বাঙালির ক্রিকেট সংস্কৃতির পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে। 


বাংলার ক্রিকেট খেলার জনকরূপে কে পরিচিত ছিলেন? এই খেলাকে জনপ্রিয় করে তােলার ক্ষেত্রে যেসব বাঙালি ক্রিকেটার বিখ্যাত তাঁদের একজনের সম্বন্ধে তুমি যা জান লেখাে। 

অথবা, আন্তজাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছেন, এমন একজন বাঙালিক্রীড়াবিদের কৃতিত্বের পরিচয় দাও। 


হকিতে বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের রূপরেখাটি নির্দেশ করাে। 


স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় পর্বে বাঙালির অ্যাথলেটিক্স, লন টেনিস, টেবিল টেনিস, দাবা ও সাঁতার সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


রামায়ণে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে দাবা খেলার স্রষ্টা কে? এই খেলায় বাঙালির সাফল্যের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।