বাংলার কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহের অবদান আলোচনা করো।
বাংলার কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহের অবদান
বাঙালির কুস্তির গৌরবকে গােটা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গােবর গুহ অত্যন্ত উল্লেখযােগ্য নাম। প্রকৃত নাম যতীন্দ্রচরণ গুহ। গােবর গুহের পিতামহের পিতামহ শিবচরণ গুহ আধুনিক বাংলাদেশের প্রথম আখড়াটি স্থাপন করেন হােগােলকুঁড়িয়ায়। বর্তমান মসজিদবাড়ি স্ট্রীটে। তাঁর পিতামহ অম্বিকাচরণ গুহ-কে বাংলাদেশে আখড়া সংস্কৃতির পথিকৃৎ বলে মনে করা হয়। পিতা রামচরণ গুহ এবং কাকা ক্ষেত্রমােহন গুহ বা খেতুবাবুও ছিলেন নামকরা কুস্তিগীর। প্রথম জীবনে তাদের কাছেই কুস্তির প্রাথমিক শিক্ষা নিয়েছিলেন গােবর গুহ। পরবর্তীকালে তাদেরই আখড়াতে কর্মরত বিখ্যাত কুস্তিগীর খােলসা চৌবে ও রহমানি পালােয়ানের কাছে তার অনুশীলন শুরু হয়। প্রাপ্তবয়স্ক হলে গােবর গুহের উচ্চতা হয় ছয় ফুট এক ইঞ্চি এবং ওজন হয় ২৯০ পাউন্ড।
১৯১০ সালে ১৮ বছর বয়সে ত্রিপুরার মহারাজার পালােয়ান নভরং সিং-কে হারিয়ে গােবর গুহের পেশাদার জীবন শুরু হয়। সে বছরই লণ্ডনে জন বুল সােসাইটি আয়ােজিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপে ভারতের অন্যতম প্রতিনিধি নির্বাচিত হন গােবর গুহ। ১৯১২ সালে দ্বিতীয়বার ইউরােপ ভ্রমণের সময়ে তিনি স্কটল্যান্ডের শ্রেষ্ঠ কুস্তিগীর ক্যাম্পবেলকে পরাজিত করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে গােবর গুহ ১৯২০ সালে সান ফ্রানসিসকো-তে বিশ্ব পেশাদার কুস্তি প্রতিযােগিতায় তৎকালীন লাইট হেভিওয়েট বিশ্বচ্যাম্পিয়ান অ্যাড সান্টেলকে পরাজিত করেন। ১৯৪৪ সালে গােবর গুহ পেশাদার কুস্তি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
গােবর গুহ শুধু ভারতীয় কুস্তিকে বিশ্বের দরবারে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তাই নয়, ধোঁকা, টিব্বি, গাধানেট, ঢাক, পাট, কুল্লা ইত্যাদি পযাচের সংযােজন করেন। তার তার সর্বাধিক প্রচলিত প্যাচটি হল রদ্দা। বিংশ শতকের বিশ ও ত্রিশের দশকে বাঙালি যুবকদের মধ্যে কুস্তির অনুপ্রেরণা তৈরি করেছিলেন গােবর গুহ। ১৯৫২ র অলিম্পিকে ব্রোঞ্জয়ী কে ডি যাদব তার আখড়াতেই কুস্তিশিক্ষা করেন। সব মিলিয়ে বাংলা কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহ এক সােনালি অধ্যায়।
ফুটবল খেলায় বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
অথবা, বাঙালির ফুটবল চর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে আই এফ এ শিল্ড জয়ী মােহনবাগান ক্লাবের ইতিহাস পর্যালােচনা করাে।
বাঙালির ক্রিকেট সংস্কৃতির পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে।
অথবা, আন্তজাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছেন, এমন একজন বাঙালিক্রীড়াবিদের কৃতিত্বের পরিচয় দাও।
হকিতে বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের রূপরেখাটি নির্দেশ করাে।
কৰাডির ইতিহাস সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
সার্কাস ও ম্যাজিকের দুনিয়ায় বাঙালির অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, ম্যাজিকের ইতিহাস ও বাঙালির অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে
জাদুবিশ্বাস সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।