'জাদুবিশ্বাস' সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
'জাদুবিশ্বাস'
ম্যাজিক বা জাদুবিশ্বাস হল এক আদিম অথচ বর্তমান সমাজেও সুলভ একপ্রকার লােকবিশ্বাস। আদিম মানুষ কোনাে প্রাকৃতিক বা জাগতিক ঘটনার কার্যকারণ বিশ্লেষণ করতে যখনই বৈজ্ঞানিক চেতনার অপ্রতুলতার কারণে ব্যর্থ হয়েছে, তখন তারা ওই কাজ বা ঘটনার কারণ বা নিয়ন্ত্রক হিসাবে এক অদৃশ্য শক্তির কথা কল্পনা করেছে। এই বিশেষ শক্তিরই নাম 'মান্যা'— যাকে তারা জীবজগৎ থেকে শুরু করে বিভিন্ন নৈসর্গিক ঘটনায়, এমনকি জড়বস্তুর মধ্যেও বিদ্যমান বলে মনে করত। এই 'মান্যা'র ধারণা থেকেই পরবর্তীকালে সর্বপ্রাণবাদ, দেবতা, ধর্মবিশ্বাস, টোটেম, জাদুবিশ্বাস প্রভৃতির উদ্ভব বলে গবেষকেরা মনে করে থাকেন। জাদুকে সাধারণত দু-ভাগে ভাগ করা যায়— (১) অনুকরণাত্মক/অনুকৃতিমূলক জাদু এবং (২) সংযােগমূলক/ সংক্রামক/সংস্পর্শমূলক জাদু।
লােকবিশ্বাস অনুযায়ী, জাদুকে এমন এক অতিপ্রাকৃত শক্তি মনে করা হয়, যার দ্বারা নিজের বা অন্যের মঙ্গলসাধন এবং শত্রুপক্ষের অমঙ্গলসাধন সম্ভব। এর নিরিখে জাদুকে আবার White Magic (হিতকারী জাদু) এবং Black Magic (অহিতকারী জাদু) এই দুইভাগে ভাগ করা যায়। বৈদিক যাগযজ্ঞ, উর্বরতা বিষয়ক নানান আচার-অনুষ্ঠান, দেবতাকে পশু উৎসর্গ ইত্যাদির মধ্যে হিতকারী জাদুর প্রভাব দেখা যায়।
আধুনিক মানুষও জীবনে নানাবিধ অনিশ্চয়তার থেকে রক্ষা পেতে কখনও আংটি, তাবিজ, কবচ, মাদুলি প্রভৃতি ধারণ করে এই জাদুশক্তির ওপর ভরসা রাখে। এভাবেই আদিম নানান সংস্কার বিশ্বাসের মতাে জাদুবিশ্বাসও আজকের পৃথিবীর বিজ্ঞান শাসিত সময়েও নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে।
বাংলার কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহের অবদান আলোচনা করো।
ফুটবল খেলায় বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
অথবা, বাঙালির ফুটবল চর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে আই এফ এ শিল্ড জয়ী মােহনবাগান ক্লাবের ইতিহাস পর্যালােচনা করাে।
বাঙালির ক্রিকেট সংস্কৃতির পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে।
অথবা, আন্তজাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছেন, এমন একজন বাঙালিক্রীড়াবিদের কৃতিত্বের পরিচয় দাও।
হকিতে বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের রূপরেখাটি নির্দেশ করাে।
কৰাডির ইতিহাস সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
সার্কাস ও ম্যাজিকের দুনিয়ায় বাঙালির অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, ম্যাজিকের ইতিহাস ও বাঙালির অবদান সম্পর্কে আলােচনা করাে