বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর অবদান
১৮৯২ খ্রিস্টাব্দে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী (১৮৬৪-১৯১৯) কলকাতার রিপন কলেজের অধ্যাপক হন। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এই কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। কলীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে তার আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বিজ্ঞান, দর্শন, সৌন্দর্যতত্ব, সমাজ-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক বহু প্রবন্ধের রচয়িতা ছিলেন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী। প্রবাসী, ভারতবর্ষ, সাহিত্য প্রভৃতি পত্রপত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন। সত্য প্রবন্ধে আধুনিক বিজ্ঞানীরা সত্যকে কেমন দৃষ্টিতে দেখেন তা তিনি বিশ্লেষণ করেছেন। সৃষ্টি প্রবন্ধে তিনি বিজ্ঞানের সৃষ্টিতত্ত্ব আলোচনা করেছেন। রামেন্দ্রসুন্দর বিজ্ঞানীর মনােলােকের চিন্তাকে ব্যক্ত করেছেন অতিপ্রাকৃতপ্রবন্ধে।
তার লেখা মায়াপুরী একটি জীববিদ্যা বিষয়ক প্রবন্ধ। প্রকৃতি গ্রন্থের আলােকতত্ত্ব, পরমাণু. আকাশতরঙ্গ, পৃথিবীর বয়স, প্রাচীন জ্যোতিষ, প্রাকৃত সৃষ্টি, সৌরজগতের উৎপত্তি ইত্যাদি প্রবন্ধে বৈজ্ঞানিক প্রস্তাব আলােচিত হয়েছে। তাঁর রচনাগুলিতে বৈজ্ঞানিকসুলভ নিরাসক্তি এবং বিশ্লেষণী শক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। বিজ্ঞান বিষয়ক তার অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে—পদার্থবিদ্যা, শব্দকথা, বিচিত্র জগৎ, জগৎ কথা ইত্যাদি। ছছাটোদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ রচনায় তার উৎসাহ লক্ষণীয়। দর্শনের সঙ্গে বিজ্ঞানের মেলবন্ধনে রামেন্দ্রসুন্দর বাংলা বিজ্ঞানসাহিত্যে নতুন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন। তার এই বিজ্ঞান দর্শন বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। বিজ্ঞান তাঁর কাছে পরম আনন্দের সামগ্রী ছিল।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদীশচন্দ্র বসুর অবদান আলােচনা করাে |
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জগদানন্দ রায়ের অবদান আলােচনা করাে।
বাংলার কীটপতঙ্গ গ্রন্থের রচয়িতা কে? বাংলার বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে তার অবদান আলােচনা করাে।
বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে চারুচন্দ্র ভট্টাচার্যের অবদান আলােচনা করাে।
বাঙালির ক্রীড়া সংস্কৃতির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। প্রত্যেক ধরনের খেলার নাম উল্লেখ করাে।
বাঙালির কুস্তিচর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
অথবা, আমাদের মহাকাব্যে কুস্তি কী নামে পরিচিত ছিল? সংক্ষেপে বাঙালির কুস্তিচর্চার পরিচয় দাও।
বাংলার কুস্তির ইতিহাসে গােবর গুহের অবদান আলোচনা করো।
ফুটবল খেলায় বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।
অথবা, বাঙালির ফুটবল চর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে আই এফ এ শিল্ড জয়ী মােহনবাগান ক্লাবের ইতিহাস পর্যালােচনা করাে।
বাঙালির ক্রিকেট সংস্কৃতির পরিচয় লিপিবদ্ধ করাে।
অথবা, আন্তজাতিক স্তরে সুনাম অর্জন করেছেন, এমন একজন বাঙালিক্রীড়াবিদের কৃতিত্বের পরিচয় দাও।
হকিতে বাঙালির অংশগ্রহণ ও সাফল্যের রূপরেখাটি নির্দেশ করাে।