"কোথাও জীবনের খােরাক, হাসির খােরাক নেই” -বক্তা কে? 'কোথাও জীবনের খােরাক, হাসির খােরাক নেই' বলে বক্তা মনে করেছেন কেন?
বক্তা: শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটক থেকে গৃহীত উচ্ধৃতাংশটির বক্তা নাট্যকার স্বয়ং।
কথামুখ : 'বিভাব' নাটকে ঘরের মধ্যে প্রেমের দৃশ্য তৈরি করে তাতে হাসির কোনাে উপকরণ খুঁজে না পাওয়ায় চার দেয়ালের বাইরে বেরােনাের প্রস্তাব দেন নাট্যকার ও অভিনেতা শম্ভু মিত্র।
হাস্যরস সৃষ্টিতে ব্যর্থতা : প্রথমে কাল্পনিক বসার ভঙ্গির মাধ্যমে এবং পরে 'লভ সিন’ ও ‘প্রগেসিভ লভ সিন’ অভিনয় করেও সার্থক হাসির নাটক সৃষ্টিতে শম্ভু মিত্র, বউদি তৃপ্তি মিত্র ও সহ-অভিনেতা অমর গাঙ্গুলি ব্যর্থ হন। তখনই নাট্যকার উপলব্ধি করেন ঘরের মধ্যে জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
জীবনকে গভীরভাবে বােঝার অক্ষমতা : চার দেয়ালের বাইরে জীবনের যে বিরাট তাৎপর্য আছে, প্রতিদিনের বেঁচে থাকার লড়াই এবং শােষণ ও বঞ্চনার যে করুণ কাহিনি আছে, তা বক্তার চেতনায় ধরা পড়ে না। গণ্ডিবদ্ধ জীবনের বাইরে রাস্তায় মােটরগাড়ি, বাস চলে। হাত-রিকশা নিয়ে মুখে আওয়াজ করতে করতে চালক ছুটে যায়। ঘন্টি বাজিয়ে ছুটে চলে ট্রাম। কিন্তু বাস্তব জগতের এইসব দৃশ্যের মধ্যে কোথাও হাসির আয়ােজন বা উপকরণ বক্তা খুঁজে পান না। এই খুঁজে না পাওয়ার অর্থ অবশ্যই জীবনের যথাযথ তাৎপর্য বােঝার ক্ষেত্রে তাঁর অক্ষমতা। বাংলা নাটকে পপুলারিটি অর্জনের জন্য জীবনকে গভীরভাবে বােঝার ক্ষেত্রে যে দৈন্য তৈরি হয়েছিল, প্রশ্নোষ্ধৃত মন্তব্যে যেন তারই প্রকাশ ঘটেছে।
এবার নিশ্চয়ই লােকের খুব হাসি পাবে? -সমগ্র নাট্যকাহিনির নিরিখে মন্তব্যটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকে শম্ভু মিত্রের নাট্যভাবনার যে প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকে নাট্যরীতির যে নতুনত্ব প্রকাশ পেয়েছে তা আলােচনা করাে।
একাঙ্ক নাটক হিসেবে বিভাব কতখানি সার্থক তা আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
বিভাব নাটকটির নামকরণ কতখানি তাৎপর্যপূর্ণ, আলােচনা করাে।
আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই..- বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা মন্তব্যটি করেছেন আলােচনা করাে।