একাঙ্ক নাটক হিসেবে 'বিভাব' কতখানি সার্থক তা আলােচনা করাে।
ভূমিকা: 'বিভাব' নাটকের সূচনা অংশে নাট্যকার শম্ভু মিত্র নিজেই এটিকে 'একাঙ্কিকা’ বলে উল্লেখ করেছেন। বহিরাঙ্গিক বিচারে আয়তনের সংক্ষিপ্ততা এবং চরিত্রের স্বল্পতা এই নাটকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শম্ভু মিত্র, অমর গাঙ্গুলি এবং 'বৌদি' তৃপ্তি মিত্র-এই তিনটি চরিত্রকে আশ্রয় করে নাটকটি রচিত।
শর্তপূরণ: একাঙ্ক নাটকের শর্ত মেনে একটিমাত্র উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নাটকটি রচিত হয়েছে এবং তা হল নাটকে হাসির কারণ সন্ধান। কিন্তু তার আড়ালে নাট্যকার আসলে স্পষ্ট করতে চেয়েছেন, জীবনের প্রকৃত স্বরূপকে বিসর্জন দিয়ে স্থূল হাসির জন্য দর্শকদের ও তথাকথিত নাট্যদলগুলাের অপপ্রয়াসকে।
ক্লাইম্যাক্সের উপস্থিতি এবং বাস্তবতা : একাঙ্ক নাটকেও ক্লাইম্যাক্সের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। 'বিভাব' নাটকে দেখা যায় 'লভ সিন, 'প্রগ্রেসিভ লভ সিন' ইত্যাদি অভিনয় করেও যখন যথেষ্ট হাসির উদ্রেক হল না—তখন শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলিকে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন, সেখানে দেখা যায় 'চাল’, 'কাপড়’-এর দাবিতে মানুষের মিছিল চলেছে, তাতে পুলিশ গুলি চালায় এবং সামনে থাকা ছেলে মেয়েটি লুটিয়ে পড়ে। সেদিকে তাকিয়ে শম্ভু মিত্র মন্তব্য করেন—“এবার নিশ্চয়ই লােকের খুব হাসি পাবে?"সমগ্র নাটকটি শেষ অবধি গিয়ে দাঁড়ায় এই একটি মন্তব্যের শীর্ষদেশে। এই বাস্তবতাকে আশ্রয় করাই একাঙ্ক নাটকের ধর্ম।
মন্তব্য : এইসব সাধারণ বৈশিষ্ট্যের পাশাপাশি গ্রুপ থিয়েটারের নিজস্ব ভাবনার প্রকাশে ভঙ্গিনির্ভর, মঞ্চসজ্জাহীন অভিনয়ের দিকে নাট্যকারের ঝোক এবং শুরুতে সূচনা অংশে তার অনুপ্রেরণা হিসেবে দেশ-বিদেশের নানা নাটকের প্রসঙ্গ উল্লেখ, নিঃসন্দেহে এক অন্যরকম সূচনা। এভাবে সর্ব অর্থেই 'একাঙ্ক' নাটক হিসেবে 'বিভাব বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে।
বিভাব নাটকটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
বিভাব নাটকটির নামকরণ কতখানি তাৎপর্যপূর্ণ, আলােচনা করাে।
আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই..- বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা মন্তব্যটি করেছেন আলােচনা করাে।
আমিও তাে মানুষ, কালীনাথ।—প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে। বক্তা কেন এরূপ মন্তব্য করেছেন?
ও কী বলল জানাে?—ও বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কোন্ পরিস্থিতিতে কী কথা, কাকে বলেছিলেন?