"অভিনেতা মানে একটা চাকর—একটা জোকার, একটা ক্লাউন। লােকেরা সারাদিন খেটেখুটে এলে তাদের আনন্দ দেওয়াই হল নাটক- ওয়ালাদের একমাত্র কর্তব্য" -বক্তার কথার তাৎপর্য আলােচনা করাে।

তাৎপর্য: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নানা রঙের দিন' নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় অভিনয় জীবনের শেষপ্রান্তে এসে অভিনেতার সামাজিক অবস্থান নিয়ে গভীর হতাশার শিকার হয়েছেন। একদিন পুলিশের চাকরি ছেড়ে অভিনয়কে সর্বস্ব করে নিয়েছিলেন তিনি। অনেক খ্যাতিও হয়েছিল তার। কিন্তু এই খ্যাতি বা কদর সবই ততক্ষণের জন্য যতক্ষণ একজন অভিনেতা মঞ্চের উপরে থাকেন। সমাজ অভিনেতাকে আপন করে নেয় না। তাই যে অভিনয়সূত্রেই তার জীবনে একমাত্র প্রেম সম্পর্কটি এসেছিল তা পরিণতি পায়নি। কারণ রজনীকান্তকে থিয়েটার ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এখান থেকেই তার উপলব্ধি হয় যে, “যারা বলে নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প’—তারা সব গাধা”—তারা মিথ্যে কথা বলেন। অভিনেতাদের একমাত্র কাজ সারাদিনের পরিশ্রান্ত মানুষদের আনন্দ দেওয়া। অর্থাৎ "একটা ভাঁড় কি মােসায়েবের যা কাজ তাই।" জনসাধারণ অভিনয়ের প্রশংসা করে হাততালি দেবে, কিন্তু স্টেজ থেকে নামলেই একজন অভিনেতার পরিচয় সে 'থিয়েটারওয়ালা', 'নকলনবীশ' কিংবা 'অস্পৃশ্য ভাঁড়'। দর্শক অভিনেতার সঙ্গে আলাপে আগ্রহী হবে, হয়তাে চা-সিগারেটও খাওয়াবে, কিন্তু সে-সবই বাইরের দুনিয়ায় এই পরিচয়সূত্রে নিজেকে জাহির করার জন্য। কোনাে সামাজিক সম্মান অভিনেতার জন্য নেই। থিয়েটার অভিনেতার সঙ্গে কোনাে বৈবাহিক সম্পর্কও কেউ স্থাপন করবে না। নিজের জীবন থেকে এই উপলদ্ধিই রজনীকান্তের হয়েছিল।


এই পবিত্রতার নামাবলিটা সেদিন হঠাৎই ফাঁস হয়ে গেল আমার সামনে- হঠাৎ। -বক্তার এই মন্তব্যের কারণ আলােচনা করাে। 


... প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ। -কে বলেছেন? এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন? 


কী সহজে এক-একটা চরিত্র বুঝতে পারতামকী আশ্চর্য সব নতুন রঙের চরিত্রগুলাে চেহারা পেত... -বক্তার এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।


..আমার প্রতিভা এখনও মরেনি,—শরীরে যদি রক্ত থাকে, তাহলে সে রক্তে মিশে আছে প্রতিভা।—মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করাে। 


শিল্পকে যে-মানুষ ভালবেসেছে—তার বার্ধক্য নেই..—মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখাে। 

অথবা, শিল্পকে যে-সানুষ ভালােবেসেছে তার বার্ধক্য নেই কালীনাথ, একাকীত্ব নেই—বলতে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় কী বুঝিয়েছেন আলােচনা করাে। 


আমাদের দিন ফুরিয়েছে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করাে। 


নানা রঙের দিন নাটকের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 

অথবা, রজনীকান্তের চরিত্রের মধ্যে একজন অভিনেতার চিরকালীন যন্ত্রণাই প্রকাশিত হয়েছে।—আলােচনা করাে। 


নানা রঙের দিন নাটকের সংলাপ সৃষ্টিতে নাট্যকারের দক্ষতা আলােচনা করাে। 


নানা রঙের দিন নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে। 

অথবা, নানা রঙের দিন নাটকে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের যে নিঃসঙ্গতা ও একাকিত্বের ছবি ফুটেছে আলােচনা করাে। 


নানা রঙের দিন নাটকে প্রম্পটার কালীনাথ সেনের চরিত্র আলােচনা করাে। 


নানা রঙের দিন নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে যে দুটি সত্তার প্রকাশ দেখা যায়, তা আলােচনা করাে। 


নানা রঙের দিন নাটকের সমাপ্তির তাৎপর্য আলােচনা করাে।