"কী সহজে এক-একটা চরিত্র বুঝতে পারতামকী আশ্চর্য সব নতুন রঙের চরিত্রগুলাে চেহারা পেত...” -বক্তার এই মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।
বক্তার উদ্দিষ্ট মন্তব্যের বিশ্লেষণ: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নানা রঙের দিন' নাটকে বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় স্মৃতির পথ ধরে তার অতীতের অভিনয় জীবনকে মনে করেছেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় শূন্য প্রেক্ষাগৃহে মঞ্চের ওপরে দাঁড়িয়ে একের পর এক তার অতীতের অভিনয়ের চরিত্রের সংলাপগুলি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বলার মধ্য দিয়ে এক ধরনের লুকোনাে গর্ব আর অহংকার ধরা পড়েছে তার কথায়।
উদ্দিষ্ট মন্তব্যের কারখ : 'রিজিয়া' নাটকে বক্তিয়ারের চরিত্রে অভিনয় তার স্মৃতিকে নাড়া দেয়—“জীবনের ভয় দেখাও সম্রাজ্ঞী? বক্তিয়ার মরিতে প্রস্তুত সদা।" প্রম্পটার কালীনাথকে সামনে রেখে রজনীকান্ত, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের সাজাহান নাটকের ঔরঙ্গজেবের চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন—“যা করেছি, ধর্মের জন্য। যদি অন্য উপায়ে সম্ভব হত। উঃ কী অন্ধকার! কে দায়ী? আমি।এ বিচার। ও কী শব্দ?- না, বাতাসের শব্দ।”—পরিবারের সবাইকে খুন করে সিংহাসনে বসা ঔরঙ্গজেবের চরিত্রে যে প্রবল দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলে রজনীকান্ত ফিরে গেছেন তার সােনালি অতীতে। বৃদ্ধ বয়সের ফুরিয়ে যাওয়ার যন্ত্রণা ভুলে নিজের অভিনয় প্রতিভার অবশেষকে যেন খুঁজে পান রজনীকান্ত। "...আমার প্রতিভা এখনও মরেনি,শরীরে যদি রক্ত থাকে, তাহলে সে রক্তে মিশে আছে প্রতিভা!"- স্মৃতির পথ ধরে এভাবেই বেঁচে থাকার রসদ খোঁজেন বর্তমানে নেহাতই নগণ্য দিলদারের চরিত্রাভিনেতা রজনীকান্ত।
শিল্পকে যে-মানুষ ভালবেসেছে—তার বার্ধক্য নেই..—মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখাে।
আমাদের দিন ফুরিয়েছে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, রজনীকান্তের চরিত্রের মধ্যে একজন অভিনেতার চিরকালীন যন্ত্রণাই প্রকাশিত হয়েছে।—আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকের সংলাপ সৃষ্টিতে নাট্যকারের দক্ষতা আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।
নানা রঙের দিন নাটকে প্রম্পটার কালীনাথ সেনের চরিত্র আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকের সমাপ্তির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন একাঙ্ক নাটক হিসেবে কতখানি সার্থক আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকটির নামকরণের তাৎপর্য আলােচনা করাে।