'নানা রঙের দিন' নাটকের সংলাপ সৃষ্টিতে নাট্যকারের দক্ষতা আলােচনা করাে।
কথামুখ: ‘অ্যারিস্টটল নাটক রচনার জন্য যে ছ-টি অঙ্গের উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে একটি হল সংলাপ। বিষয়ের সঙ্গে দর্শকের সংযােগ তৈরি হয় এই সংলাপের মাধ্যমে। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নানা রঙের দিন' নাটকে নাট্যকার একজন অভিনেতার জীবনের হতাশা এবং অতীতের স্মৃতিচারণার মাধ্যমে রূপ ও রূপান্তরের ছবিকে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বক্তিতাধর্মী দীর্ঘ সংলাপ : দর্শকশূন্য অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে নেশাগ্রস্ত অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজের মুখােমুখি নিজেই দাঁড়িয়ে বক্তৃতাধর্মী এবং দীর্ঘ সংলাপগুলি বলেছেন। নিজের উপরে তার নিয়ন্ত্রণ হারানাের বিষয়টিই যেন প্রকাশিত হয় দীর্ঘ সংলাপে। অসংলগ্ন, এলােমেলাে ও অতিদীর্ঘ সংলাপগুলিকে আরও বাস্তবগ্রাহ্য করেছে মধ্যে মধ্যে হিন্দি সংলাপের প্রয়ােগ- "বাঃ বাঃ বুঢ়ঢ়া। আচ্ছাহি কিয়া।"
সংলাপের ভিতরে সংলাপ : অজিতেশের সংলাপের আর-একটি বৈশিষ্ট্য হল সংলাপের ভিতরে সংলাপ নির্মাণ। নিজের কথা বলতে বলতেই রজনীকান্তের বিবেকও যেন কথা বলে উঠেছে। একই সংলাপের মধ্যে তৈরি হয়েছে দুটি সত্তার চেতনাগত বিপরীতধর্মিতা। আবার "মাইরি, এই না হলে অ্যাকটিং।" ইত্যাদি কথ্যবুলির অসাধারণ প্রয়ােগও দেখা যায় নাটকটিতে। আবার রজনীকান্তের যন্ত্রণার প্রকাশে ভাষায় গাম্ভীর্যও সৃষ্টি করেছেন নাট্যকার- "একেবারে নিঃসঙ্গ... ধু-ধু করা দুপুরে জ্বলন্ত মাঠে বাতাস যেমন একা—যেমন সঙ্গীহীন…"। এভাবেই চরিত্রের অবস্থার পরিবর্তন ও বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে 'নানা রঙের দিন'-এর সংলাপ অনন্য মাত্রা পেয়েছে।
নানা রঙের দিন নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।
নানা রঙের দিন নাটকে প্রম্পটার কালীনাথ সেনের চরিত্র আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকের সমাপ্তির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন একাঙ্ক নাটক হিসেবে কতখানি সার্থক আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকটির নামকরণের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম, সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত? -কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
জয়তােরণে ঠাসা মহনীয় রােম।- কথাটি ব্যাখ্যা করাে। প্রসঙ্গটি উল্লেখের কারণ কী?
বইয়ে লেখে রাজার নাম।রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত? -কারা, কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিল?
কে আবার গড়ে তুলল এতবার?- কী গড়ে তােলার কথা বলা হয়েছে? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন?