"জয়তােরণে ঠাসা মহনীয় রােম।" -কথাটি ব্যাখ্যা করাে। প্রসঙ্গটি উল্লেখের কারণ কী? | “জয়তােরণে ঠাসা মহনীয় রােমা/বানাল কে?”—'মহনীয় রােম' বলা হয়েছে কেন? উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
ব্যাখ্যা: বের্টোল্ট ব্রেখটের 'পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন' কবিতা থেকে প্রশ্নোধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে রােম ছিল খ্যাতি ও বৈভবের কেন্দ্র। প্রথম এবং দ্বিতীয় শতাব্দীতে রােম হয়ে উঠেছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য। পরবর্তী প্রায় বারাে শতকজুড়ে ইউরােপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রােমের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। 'জয়তােরণে ঠাসা মহনীয় রােম' বলতে রােমের এই কীর্তিকাহিনির দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
প্রথাগত ইতিহাস : মানবসভ্যতায় যাঁরা ক্ষমতাবান কেবল তারাই খ্যাতির আলােকে আলােকিত হন। বহুযুগ ধরে ক্ষমতাশালী কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়েই প্রথাগত ইতিহাস লেখা হয়ে আসছে।
সাধারণ মানুষের কথা : কিন্তু প্রচলিত ইতিহাসের বাইরে সভ্যতার প্রকৃত নির্মাতাদের আর-এক ইতিহাস থাকে। যেমন, সাত দরজাওয়ালা থিবসের নির্মাতা হিসেবে রাজার নাম থাকলেও শ্রমিকদের শ্রম ছাড়া তা নির্মাণ করা সম্ভব হত না। ঠিক সেভাবেই রােমের যে বিজয়কেতন উড়েছিল তা সাধারণ সৈনিকদের লড়াইয়েরই ফলশ্রুতি। এমনকি সিজার যে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন, তার পিছনেও সাধারণ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
ইতিকথা : সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের হাতেই যে ইতিহাসের প্রকৃত চাবিকাঠি রয়েছে তা বােঝাতেই কবি প্রশ্নোপ্ত মন্তব্যটি করেছেন।
বইয়ে লেখে রাজার নাম।রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত? -কারা, কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিল?
কে আবার গড়ে তুলল এতবার?- কী গড়ে তােলার কথা বলা হয়েছে? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন?
পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় কবির সমাজচেতনার কী পরিচয় পাও?
অথবা, কবি বের্টোল্ট ব্রেখট রচিত পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটির ভাববস্তু সংক্ষেপে লেখাে।
পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিশ্লেষণ করাে।
মর্দানা কীভাবে বলী কান্ধারীর কাছে পৌঁছেছিলেন সেই প্রেক্ষাপটটি আলােচনা করাে।
বলী কান্ধারীর সঙ্গে সাক্ষাতে মর্দানার কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা উল্লেখ করাে।