মর্দানা কীভাবে বলী কান্ধারীর কাছে পৌঁছেছিলেন সেই প্রেক্ষাপটটি আলােচনা করাে।
প্রেক্ষাপট: কর্তার সিং দুগগালের 'অলৌকিক' গল্পে দেখা যায়, গুরু নানক একবার ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছেছিলেন হাসান আব্দালের জঙ্গলে। চারপাশে তখন প্রবল রােদ এবং ভয়ানক গরম ছিল। জনশূন্য পথঘাটের চারদিকে শুধু পাথরের চাই, ধু-ধু বালি আর ঝলসে যাওয়া শুকনাে গাছপালার দেখা পাওয়া যাচ্ছিল। এরকম পরিস্থিতিতেও গুরু নানক যখন আত্মমগ্ন হয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখনই তার সঙ্গী শিষ্য মর্দানার তীব্র জল তেষ্টা পায়। নানক তাঁকে অপেক্ষা করতে বললেও মানার জলের জন্য কাতরতা বাড়তেই থাকে। গুরু নানক তাঁকে বােঝানাের চেষ্টা করেন যে, এই জলের অভাব আসলে ঈশ্বরেরই অভিপ্রায়। কিন্তু তৃয়ার্ত মর্দানা আর এগােতে রাজি না হওয়ায় নানক গভীর সমস্যায় পড়ে যান। মর্দানার এই একগুঁয়েমি একইসঙ্গে তার হাসি আর বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। এরপর মর্দানার তৃয়া আরও বেড়ে যেতে দেখে নানক তাকে বলেন যে, পাহাড়ের চুড়ােয় বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন এবং তার কুয়াে ছাড়া সেখানে আর কোথাও জল নেই। নানকের এই কথা শুনেই মর্দানা সেদিকে ছুটে যায়। শেষপর্যন্ত তৃয়ার্ত মর্দানা মাথায় গনগনে রােদ নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে পাহাড়ে বলী কান্ধারীর কাছে পৌছােয়।
বলী কান্ধারীর সঙ্গে সাক্ষাতে মর্দানার কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা উল্লেখ করাে।
উনি রীতিমত হতভম্ব। -উনি বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তার হতভম্ব হওয়ার কারণ কী ছিল?
মার সঙ্গে তর্ক শুরু করি। -কে মা-এর সঙ্গে তর্ক শুরু করেন? তর্কের বিষয়ই বা কী ছিল?
ঠিক হল, ট্রেনটা থামানাে হবে।—কোন্ ট্রেনের কথা বলা হয়েছে? সেটি কীভাবে থামানাে হয়েছিল?
অলৌকিক গল্পের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, অলৌকিক গল্পে অলৌকিক বলতে গল্পকার কী বুঝিয়েছেন?
অলৌকিক গল্পটি ছােটোগল্প হিসেবে কতটা সার্থক তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।