"এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।”—কোন্ প্রসঙ্গে কে মন্তব্যটি করেছিলেন? বক্তার এই মন্তব্যে কি কোনাে কাজ হয়েছিল? এই বিষয়ে বক্তাকে এরপরে কী ভূমিকা নিতে হয়েছিল?
বক্তা এবং প্রসঙ্গ: কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা 'অলৌকিক' গল্পে গুরু নানক যখন ঘুরতে ঘুরতে হাসান আলালের জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছিলেন সেই সময়ে অসহ্য গরমে শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পায়। নানক তাকে ধৈর্য ধরতে বলেন এবং জানান যে, পরের গ্রামে গেলেই জল পাওয়া যাবে। কিন্তু মর্দানার কাকুতিমিনতিতে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়েন। কারণ মর্দানা না যেতে চাইলে তাদের যাত্রাই বিঘ্নিত হবে। তখনই গুরু নানক মর্দানাকে বোঝাতে গিয়ে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।
মন্তব্যের ফলশ্রুতি: গুরু নানকের এই মন্তব্যে বিশেষ কোনাে কাজ হয়নি, কারণ মর্দানা সেখান থেকে নড়তে রাজি হয়নি, বরং সে সেখানেই বসে পড়েছিল।
বক্তার পরবর্তী ভূমিকা : পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে গুরু নানক ধ্যানে বসেন। ধ্যানের শেষে চোখ খুলে দেখেন মর্দানা তুয়ায় জল ছাড়া মাছের মতাে ছটফট করছে। সদ্গুরু নানক তখন মৃদু হাসি হেসে তাকে বলেন যে, পাহাড় চুড়ােয় বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন। তাঁর কাছেই একমাত্র জল পাওয়া যেতে পারে। এইভাবে গুরু নানক তৃয়ার্ত মর্দানার উদ্দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সদগুরুর ভূমিকা নিয়েছিলেন।
উনি রীতিমত হতভম্ব। -উনি বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তার হতভম্ব হওয়ার কারণ কী ছিল?
মার সঙ্গে তর্ক শুরু করি। -কে মা-এর সঙ্গে তর্ক শুরু করেন? তর্কের বিষয়ই বা কী ছিল?
ঠিক হল, ট্রেনটা থামানাে হবে।—কোন্ ট্রেনের কথা বলা হয়েছে? সেটি কীভাবে থামানাে হয়েছিল?
অলৌকিক গল্পের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, অলৌকিক গল্পে অলৌকিক বলতে গল্পকার কী বুঝিয়েছেন?
অলৌকিক গল্পটি ছােটোগল্প হিসেবে কতটা সার্থক তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।
গল্পটা আমাদের স্কুলে শােনানাে হল। -গল্পটা কী? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?