"ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানাে গেল, পাথরের চাই থামানাে যাবে না কেন?”—ট্রেন থামানাের দরকার হয়েছিল কেন? ট্রেন কীভাবে থামানাে হয়েছিল?
ট্রেন থামানাের প্রয়ােজনীয়তা: কর্তার সিং দুগালের 'অলৌকিক' গল্প থেকে সংকলিত উদ্ধৃতিটিতে যে ট্রেন থামানাের কথা বলা হয়েছে, সেটি ছিল ক্ষুধায় ও তৃয়ায় কাতর বন্দিদের নিয়ে পাঞ্জাসাহেবের ওপর দিয়ে অন্য শহরের কারাগারের উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি ট্রেন। যে শহরে গুরু নানক শিষ্য মর্দানার তৃয়া মিটিয়েছিলেন, সেখান দিয়ে বন্দিরা যাতে ক্ষুধার্ত-তৃষ্ণার্ত অবস্থায় না যেতে পারেন, সেজন্যই সেই ট্রেন থামানাের দরকার হয়েছিল।
যেভাবে ট্রেন থামানাে হয় : পাঞ্জাসাহেবের লােকেরা ট্রেন না থামানাের সরকারি নির্দেশ মানতে পারেনি। যে শহরে গুরু নানক শিষ্য মানার তেষ্টা মিটিয়েছিলেন সেখান দিয়ে ক্ষুধার্ত -তৃয়ার্ত বন্দিদের নিয়ে ট্রেন চলে যাবে এটা পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। প্রথমে তারা স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন জানান। কিন্তু টেলিফোন, টেলিগ্রাম পেয়েও কোনাে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তখন পাঞ্জাসাহেবের লােকেরা স্টেশনে রুটি, পায়েস, লুচি, ডাল ইত্যাদি নানা খাদ্যদ্রব্য মজুত করেন। তারপরে ট্রেন থামাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে স্ত্রী এবং সন্তান-সহ পাঞ্জঞাসাহেবের পুরুষ মানুষেরা রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এই অবস্থায় তীক্ষ্ণ হুইসেল দিয়ে ট্রেন এসে গতি কমালেও তার চাকা চলে যায় অনেকের বুকের ওপর দিয়ে। ট্রেন পিছােতে গেলে লাশগুলি কেটে দুমড়ে মুচড়ে যায়। খালপারের সেতুর দিকে বয়ে যায় রক্তের স্রোত। এভাবে অজস্র প্রাণের বিনিময়ে সেদিন ট্রেন থামাতে সমর্থ হয়েছিল পাঞ্জাসাহেবের মানুষেরা।
অলৌকিক গল্পের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, অলৌকিক গল্পে অলৌকিক বলতে গল্পকার কী বুঝিয়েছেন?
অলৌকিক গল্পটি ছােটোগল্প হিসেবে কতটা সার্থক তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।
গল্পটা আমাদের স্কুলে শােনানাে হল। -গল্পটা কী? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?
অবাক-বিহবল বসে আছি, মুখে কথা নেই।—মুখে কথা নেই কেন?
অথবা, পাহাড়ি গারােরা তাই তারিফ করে তাদের নাম দিয়েছে হাজং।- হাজং কথার অর্থ কী? হাজংদের পরিচয় দাও।
জঙ্গলে যখন আগুন লাগে তখন হয় মজা।—জঙ্গলে আগুন লাগে কেন? এখানে মজা বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
কিন্তু হাতি-বেগার আর চলল না। -হাতি-বেগার আইন কী? তা আর চলল না কেন?