"পাহাড়ি গারােরা তাই তারিফ করে তাদের নাম দিয়েছে হাজং।”—'হাজং' কথার অর্থ কী? হাজংদের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও | হাজংদের পরিচয় দাও।
হাজং-এর অর্থ: সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের 'গারাে পাহাড়ের নীচে' রচনা থেকে সংগৃহীত উদ্ধৃতিটিতে 'হাজং' কথাটি প্রকৃতপক্ষে 'গারাে' ভাষার একটি শব্দ; যার অর্থ 'পােকা'।
হাজংদের জীবনযাত্রা : উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের এক উপজাতি হল হাজং। গারাে পাহাড়ের পাদদেশে হাজংদের সাথেই গারাে, কোচ, বানাই, ডালু, মার্গান প্রভৃতি উপজাতির মানুষ বাস করে। প্রত্যেক উপজাতির মানুষের চোখেমুখেই পাহাড়ি ছাপ লক্ষ করা যায়। এই সমস্ত উপজাতির আলাদা আলাদা মাতৃভাষা থাকলেও হাজং ও ডালুরা অদ্ভুত ধরনের উচ্চারণে বাংলা ভাষাতেই কথা বলে। 'ত্’-কে ‘ট্’, ‘ট্’-কে ‘ত্’, ‘ড্’-কে ‘দ্’ এবং 'দ্'-কে 'ড্' উচ্চারণ করে তারা। হাজংদের এমন উচ্চারণ শুনলে যে-কোনাে বাঙালিরই হাসি পাবে। একজন বয়স্ক মানুষ ‘দুধ’-কে ‘ডুড’ এবং 'তামাক'-কে 'টামাক' বলছে শুনলে কার না হাসি পায়?
গারাে পাহাড়ের ঠিক নীচে রয়েছে সুসং পরগনা, যার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে সােমেশ্বরী নদী। এখানে প্রথম বসতি গড়ে তােলে হাজংরাই। এ অঞ্চলের সংখ্যাগুরু আদিবাসী তারাই, গারােরা নয়। গারাে পাহাড়তলির সুসং পরগনায় এসে হাজংরা প্রথম চাষবাস শুরু করে। কৃষিকার্যে তারা ছিল অত্যন্ত দক্ষ। একারণে পাহাড়তলির পাহাড়ি উপজাতি গারােরা হাজংদের কৃষিকাজের দক্ষতাকে তারিফ করে তাদের নাম দিয়েছিল 'চাষের পােকা'।
জঙ্গলে যখন আগুন লাগে তখন হয় মজা।—জঙ্গলে আগুন লাগে কেন? এখানে মজা বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
কিন্তু হাতি-বেগার আর চলল না। -হাতি-বেগার আইন কী? তা আর চলল না কেন?
একটা দুষ্ট শনি কোথাও কোন্ আনাচে যেন লুকিয়ে আছে।—এই দুষ্টু শনির পরিচয় দাও।
গারাে পাহাড়ের নীচে যারা বাস করে তাদের জীবনযাত্রার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
পচিশ-ত্রিশ বছর আগেকার কথা।—পচিশ-তিরিশ বছর আগেকার কথাটি সংক্ষেপে লেখো।
অথবা, বিশ্বাস করাে, বানানাে গল্প নয়। -লেখক যে গল্পটির কথা উল্লেখ করেছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে।
অথবা, ছাতির বদলে হাতি প্রবন্ধে চাষিদের ওপর মহাজনি শােষণের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
নতুন ছাতি মাথায় দিয়ে মহাফুর্তিতে বাড়ির দিকে সে চলল— কার কথা? সে নতুন ছাতি কীভাবে পেল?
...চেংমানের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে।—চেংমান কে? কেন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল?
অথবা, তাতে চেংমানের চোখ কপালে উঠল।—চেংমান কে? তার চোখ কপালে ওঠার কারণ কী?