"গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।" -কোন্ গল্পের কথা বলা হয়েছে? এই গল্পের প্রতি বক্তার কীভাবে বিশ্বাস জন্মেছিল?
উদ্দিষ্ট গল্প: কর্তার সিং দুগগালের 'অলৌকিক' গল্পে দেখা যায়, গুরু নানক তুয়ার্ত শিষ্য মর্দানাকে তার সামনের পাথর সরাতে বলার সঙ্গে সঙ্গেই সেখান থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। এদিকে ওই এলাকায় একমাত্র জলের কুয়াের অধিকারী বলী কান্ধারী তার কুয়েতে জল না থাকার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাহাড়ের নীচে জলের স্রোত এবং তার কাছেই শিষ্য- সহ গুরু নানককে বসে থাকতে দেখেন। নানকের ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে কান্ধারী পাথরের চাঙর নীচের দিকে গড়িয়ে দেন। কিন্তু নানক তার অলৌকিক ক্ষমতাবলে সেই পাথরের চাঙড়কে হাত দিয়ে থামিয়ে দেন। প্রশ্নোধৃত অংশে গুরু নানকের এই অবিশ্বাস্য গল্পের কথাই বলা হয়েছে।
গল্পের প্রতি বক্তার বিশ্বাস: পরবর্তীকালে পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে লেখক তার মায়ের বান্ধবীর কাছে শুনেছিলেন এক আশ্চর্য ঘটনা। শহরের নিরীহ ভারতীয়দের অনেককে হত্যা করে বাকিদের ট্রেনে বন্দি করে নিয়ে যাচ্ছিল ফিরিঙ্গিরা। খিদে-তেষ্টায় তারা কাতর হলেও ট্রেন থামানাের কোনাে নির্দেশ ছিল না। এই ঘটনায় উত্তেজিত পাঞ্জাসাহেবের লােকেরা যেভাবেই হােক ট্রেন থামানাের সিদ্ধান্ত নেয়। চলন্ত ট্রেনের সামনে নিজেদের জীবন বিপন্ন করেও তারা ট্রেন থামায়। জীবন দিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করার এই কাহিনি শােনার পরেই বক্তার মনে হয়েছিল প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরে চলন্ত ট্রেনকে থামানাে সম্ভব হলে পাথরের চাই থামানােও মােটেই অসম্ভব নয়। এভাবেই গল্পকথকের নানকের গল্পের প্রতি অবিশ্বাস পরিবর্তিত হয়ে বিশ্বাসের জন্ম দেয়।
গল্পটা আমাদের স্কুলে শােনানাে হল। -গল্পটা কী? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?
অবাক-বিহবল বসে আছি, মুখে কথা নেই।—মুখে কথা নেই কেন?
অথবা, পাহাড়ি গারােরা তাই তারিফ করে তাদের নাম দিয়েছে হাজং।- হাজং কথার অর্থ কী? হাজংদের পরিচয় দাও।
জঙ্গলে যখন আগুন লাগে তখন হয় মজা।—জঙ্গলে আগুন লাগে কেন? এখানে মজা বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
কিন্তু হাতি-বেগার আর চলল না। -হাতি-বেগার আইন কী? তা আর চলল না কেন?
একটা দুষ্ট শনি কোথাও কোন্ আনাচে যেন লুকিয়ে আছে।—এই দুষ্টু শনির পরিচয় দাও।
গারাে পাহাড়ের নীচে যারা বাস করে তাদের জীবনযাত্রার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।