'পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন' কবিতায় কবির সমাজচেতনার কী পরিচয় পাও | কবি বের্টোল্ট ব্রেখট রচিত 'পড়তে জানে এমন এক মজুরের' প্রশ্ন কবিতাটির ভাববস্তু সংক্ষেপে লেখাে।
সূচনা: বের্টোল্ট ব্রেখট তাঁর 'পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন' কবিতায় সমাজ এবং সভ্যতার কিছু মৌলিক প্রশ্ন তুলে ধরেছেন।
প্রথাগত ইতিহাস এবং উপেক্ষিত শ্রমজীবী মানুষ : আলােচ্য কবিতাটিতে কবি বলেছেন যে, প্রথাগত ইতিহাসে যাবতীয় কীর্তি এবং বিজয়ের নায়ক হিসেবে দেখানাে হয় রাজা কিংবা শাসকশক্তিকে। অথচ তার আড়ালে থাকে যে শ্রমজীবী মানুষের অবদান, তারা চিরকাল উপেক্ষিতই থেকে যায়। ইতিহাসের এই ভ্রান্তি কিংবা মিথ্যাচার কবির আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।
শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম : সাত দরজাওয়ালা থিবস্ তৈরি, ব্যাবিলনের পুনর্নির্মাণ, লিমা নগরীর নির্মাণ, চিনের প্রাচীর নির্মাণ কিংবা জয়তােরণে উজ্জ্বল রােম নগরীকে গড়ে তােলা-সবই সম্ভব হয়েছে। সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই। আলেকজান্ডার কিংবা সিজারের জয়ও এসেছিল অসংখ্য সাধারণ সৈনিকের সংঘবদ্ধ প্রয়াসে।
উপেক্ষিত সাধারণ মানুষ : কবির মতে, আর্মাডা যখন সমুদ্রে ডুবেছিল তখন স্পেনের রাজা ফিলিপই শুধু কাদেনি, কেঁদেছিল স্পেনের সাধারণ মানুষও। দ্বিতীয় ফ্রেডারিক যে সাত বছরের যুদ্ধে জিতেছিল, সেই যুদ্ধজয়ের নেপথ্যেও ছিল সাধারণ সৈনিকেরা। বিজয়ের যে ইতিহাস বইয়ের পাতায় লেখা থাকে সেখানেও সাধারণ মানুষের এই অবদানকে স্বীকার করা হয় না।
ইতিকথা : তাই আলােচ্য কবিতার মধ্য দিয়ে একজন শ্রমজীবী মানুষের জবানিতে কবি প্রশ্নের আকারে নিজের প্রতিবাদকে তুলে ধরেছেন।
পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিশ্লেষণ করাে।
মর্দানা কীভাবে বলী কান্ধারীর কাছে পৌঁছেছিলেন সেই প্রেক্ষাপটটি আলােচনা করাে।
বলী কান্ধারীর সঙ্গে সাক্ষাতে মর্দানার কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা উল্লেখ করাে।
উনি রীতিমত হতভম্ব। -উনি বলতে কার কথা বলা হয়েছে? তার হতভম্ব হওয়ার কারণ কী ছিল?
মার সঙ্গে তর্ক শুরু করি। -কে মা-এর সঙ্গে তর্ক শুরু করেন? তর্কের বিষয়ই বা কী ছিল?
ঠিক হল, ট্রেনটা থামানাে হবে।—কোন্ ট্রেনের কথা বলা হয়েছে? সেটি কীভাবে থামানাে হয়েছিল?