'নানা রঙের দিন' নাটকে প্রম্পটার কালীনাথ সেনের চরিত্র আলােচনা করাে।
কথামুখ: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদ-নাটক 'নানা রঙের দিন’-এ কালীনাথ সেন হলেন থিয়েটারের প্রম্পটার, যাঁর বয়স যাটের কাছাকাছি। গভীর রাতে অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় যখন নেশার ঘােরে বুঁদ হয়ে একা মঞে অসংলগ্ন আচরণ করছেন, তখনই ময়লা পাজামা পরে, কালাে চাদর গায়ে এলােমেলাে চুলের কালীনাথ সেনের মঞ্চে প্রবেশ ঘটে।
আশ্রয়হীন : আশ্রয়হীন কালীনাথের ব্যক্তিগত জীবনও রজনীকান্তের মতাে বা তার থেকেও দুঃখের। তাই তিনি রােজ লুকিয়ে থিয়েটারের গ্রিনরুমে ঘুমােতে যান।
জীবনের হতাশাকে মানিয়ে নেওয়া : সারাজীবনের সমস্ত হতাশা, না- পাওয়া, আক্ষেপের সঙ্গে তিনি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন। আর এখানেই রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার পার্থক্য। গভীর রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় যখন রজনীকান্তের গলায় একরাশ হতাশা ঝরে পড়ে, তখন কালীনাথবাবু তাকে বারেবারে পুরােনাে দিনের কথা না ভাবার পরামর্শ দেন।
নাটকে নিবেদিত প্রাণ : প্রস্পটার কালীনাথও যে নাটকের জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক ব্যক্তিত্ব, তা বােঝা যায় যখন রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি মঞ্জের উপরে অনায়াস দক্ষতায় 'সাজাহান’ নাটকে মহম্মদের সংলাপ থেকে শুরু করে দক্ষতার সঙ্গে বলে যান।
মানবিকতা : কালীনাথের চরিত্রে মানবিকতার প্রকাশ দেখা যায়। হতাশ এবং অবসাদগ্রস্ত রজনীকান্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। গভীর রাতে তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতেও চেয়েছেন। "আপনার প্রতিভা এখনও মরেনি...”—এই কথার মাধ্যমে তিনি হতাশ রজনীকান্তকে পুনরুজ্জীবিত করতে চেয়েছেন।
ইতিকথা : এককথায় বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্তের চরিত্রকে ফুটিয়ে তােলায় পার্শ্বচরিত্র হিসেবে প্রম্পটার কালীনাথ সেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।
নানা রঙের দিন নাটকের সমাপ্তির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন একাঙ্ক নাটক হিসেবে কতখানি সার্থক আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকটির নামকরণের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম, সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত? -কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
জয়তােরণে ঠাসা মহনীয় রােম।- কথাটি ব্যাখ্যা করাে। প্রসঙ্গটি উল্লেখের কারণ কী?
বইয়ে লেখে রাজার নাম।রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত? -কারা, কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিল?
কে আবার গড়ে তুলল এতবার?- কী গড়ে তােলার কথা বলা হয়েছে? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন?