"এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম, সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকত?" -কবির এই মন্তব্যের তাৎপর্য আলােচনা করাে।
শুরুর কথা: বের্টোল্ট ব্রেখট তাঁর 'পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন' কবিতায় পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রমজীবী মানুষের গুরুত্বই যে সবচেয়ে বেশি, সেই সত্য প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হয়েছেন।
প্রচলিত ইতিহাস : আমাদের প্রচলিত ইতিহাসে রাজারাজড়া এবং সাম্রাজ্যবাদী শাসকের জয়কেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। সমাজের বিত্তবান শ্রেণি বা উঁচুতলার মানুষরাই প্রধানত সেই ইতিহাসকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেই প্রেক্ষাপটে আলােচ্য কবিতাটিতে কবি বলেছেন যে, ইতিহাসের প্রকৃত কারিগর সাধারণ শ্রমজীবী মানুষেরাই।
বাইজেনটিয়াম সভ্যতা : বাইজেনটিয়াম সভ্যতার ঐশ্বর্য ইতিহাসখ্যাত। ৬৫৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই সভ্যতা ছিল বাণিজ্যসমৃদ্ধ। পরবর্তীকালে সেপটিমিয়াস সেভেরাসের আমলে এই সভ্যতা আরও সমৃদ্ধি লাভ করে। প্রথম কনস্টানটাইনের আমলে বাইজেনটিয়াম রাজার আবাস হয়ে ওঠে।
সমৃদ্ধির আড়ালে থাকা সাধারণ মানুষ : কিন্তু বাইজেনটিয়ামের এই সমৃদ্ধির আড়ালে সেখানকার সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট মিথ্যা হয়ে যেতে পারে না। তা সত্ত্বেও বৈভবের আড়ালে থাকা সেই দুঃখ-যন্ত্রণার জীবনকে অস্বীকার করে প্রথাগত ইতিহাস।
শেষের কথা : বৈষম্যেভরা সমাজ বিত্তবান এবং ক্ষমতাবানদের গুরুত্ব দিয়ে শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের কাজকে যুগ যুগ ধরে উপক্ষো করে এসেছে। এই উপেক্ষা আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কবির তীব্র শ্লেষ উচ্চারিত হয়েছে প্রশ্নোধৃত অংশে।
জয়তােরণে ঠাসা মহনীয় রােম।- কথাটি ব্যাখ্যা করাে। প্রসঙ্গটি উল্লেখের কারণ কী?
বইয়ে লেখে রাজার নাম।রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত? -কারা, কেন পাথর ঘাড়ে করে এনেছিল?
কে আবার গড়ে তুলল এতবার?- কী গড়ে তােলার কথা বলা হয়েছে? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন?
পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতায় কবির সমাজচেতনার কী পরিচয় পাও?
অথবা, কবি বের্টোল্ট ব্রেখট রচিত পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটির ভাববস্তু সংক্ষেপে লেখাে।
পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিশ্লেষণ করাে।
মর্দানা কীভাবে বলী কান্ধারীর কাছে পৌঁছেছিলেন সেই প্রেক্ষাপটটি আলােচনা করাে।