"থিয়েটারের দেয়ালে দেয়ালে অঙ্গারের গভীর কালাে অক্ষরে লেখা, আমার জীবনের পয়তান্ত্লিশটা বছর..." -এই জীবনের যে কাহিনি বক্তা উল্লেখ করেছেন তা নিজের ভাষায় লেখাে।
স্মৃতির পথ বেয়ে: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'নানা রঙের দিন' নাটকটি মূলত কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রবীণ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের স্মৃতির পথ বেয়ে জীবনকে উপলব্ধির প্রয়াস। গভীর রাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে তার এই আত্মপােলির দোসর হয়েছেন প্রস্পটার কালীনাথ সেন। কালীনাথের সঙ্গে রজনীকান্তের দীর্ঘ সংলাপে উঠে এসেছে তার ফেলে আসা জীবনের গল্প।
ফ্ল্যাশব্যাক : যৌবনের রূপ, আদর্শ, প্রভাব-প্রতিপত্তি, প্রেম, নারী—সবই যেন ফ্ল্যাশব্যাকের মতাে ভেসে উঠেছে তার চোখে।
চাকরি জীবন : যৌবনে পুলিশ ইনস্পেকটরের চাকরি ছেড়ে নাটকের জগতে এসেছিলেন তিনি। তবে নাটকে এসে তার নামডাক হয়েছিল যথেষ্টই।
প্রেম : নাটকের সূত্রেই প্রেম এসেছিল তার জীবনে। ধনী পরিবারের সুন্দরী মেয়ে তার প্রেমে পড়লেও তা পরিণতি পায়নি। প্রেমিকার দেওয়া থিয়েটার ছাড়ার প্রস্তাব মেনে নিতে পারেননি রজনীকান্ত।
সম্পর্কের দ্বন্দ্ব : থিয়েটার আর সম্পর্কের দ্বন্দ্বে সেদিন থিয়েটারকেই বেছে নিয়েছিলেন রজনীবাবু। কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি উপলদ্ধি করেছিলেন অভিনেতা জীবনের অর্থহীনতা।
নিঃসঙ্গতা : অভিনেতার যা কিছু মূল্য তা শুধুমাত্র মধণ্যেই, সমাজজীবনে তাঁর কোনাে গুরুত্বই নেই। তার ব্যক্তিগত ও অভিনয় জীবনের নিঃসঙ্গতা আর হতাশাই থিয়েটারের দেয়ালে কালাে অক্ষরে লেখা আছে বলে মনে করেন রজনীকান্তবাবু।
ও কী বলল জানাে?—ও বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? সে কোন্ পরিস্থিতিতে কী কথা, কাকে বলেছিলেন?
শিল্পকে যে-মানুষ ভালবেসেছে—তার বার্ধক্য নেই..—মন্তব্যটির তাৎপর্য লেখাে।
আমাদের দিন ফুরিয়েছে।—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? বক্তার এই উপলব্ধির কারণ ব্যাখ্যা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
অথবা, রজনীকান্তের চরিত্রের মধ্যে একজন অভিনেতার চিরকালীন যন্ত্রণাই প্রকাশিত হয়েছে।—আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটকের সংলাপ সৃষ্টিতে নাট্যকারের দক্ষতা আলােচনা করাে।
নানা রঙের দিন নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।