'বিভাব' নাটকের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
কথামুখ: অভিনেতা ও নাট্যকার শম্ভু মিত্রের 'বিভাব' নাটকটি তার নাট্যভাবনা এবং জীবনবােধের এক বিশিষ্ট প্রকাশ।
প্রযােজনার ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা : নাটকের শুরুতেই শম্ভু মিত্র গ্রুপ থিয়েটার প্রযােজনার ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। পেশাদারি থিয়েটারকে বাদ দিয়ে অন্যধারার নাটক থেকে সরকারের কর আদায়ের বিমাতৃসুলভ আচরণের কথাও উঠে এসেছে নাট্যকারের কথায়।
অভিনয় কৌশলের পরিবর্তন : আর এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য মঞ্চের উপকরণ বাদ দিয়ে শুধু ভঙ্গিকে নির্ভর করে আর দর্শকদের কল্পনাশক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে কীভাবে নাটক অভিনয়ের কৌশল আয়ত্ত করা সম্ভব, সে-কথাও তিনি বলেছেন।
নব্য নাট্যরীতির প্রয়ােগ : নাট্যদলের সম্পাদকের ফরমাশ অনুযায়ী হাসির নাটক মস্থ করতে এই নাট্যরীতিকে প্রয়ােগ করে শম্ভু মিত্র, অমর গাঙ্গুলি এবং তৃপ্তি মিত্র একাধিক নাট্যদৃশ্যের উপস্থাপনা করেন। বাংলা নাটক কীভাবে জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত হওয়ার বদলে জনপ্রিয়তা অর্জনে তার লঘু দিককে তুলে ধরে তা এই দৃশ্যগুলিতে একেবারে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। হাসানাের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হলে শেষে চরিত্ররা ঘর থেকে বাইরে বের হন বাস্তব জীবনে 'হাসির খােরাক' সন্ধানের জন্য।
প্রকৃত নাট্যভাবনার অভাববােধ : প্রকৃত নাট্যভাবনার অভাবকে যেন এভাবেই এই নাটকে স্পষ্ট করেন নাট্যকার। আর তা তীব্র হয় কাহিনির শেষে, যখন খাদ্যের দাবিতে গুলি খাওয়া মানুষগুলোকে দেখিয়ে শম্ভু মিত্র বলেন—“এবার নিশ্চয়ই লােকের খুব হাসি পাবে?" -নাটক এবং দর্শকদের রুচিকে এভাবেই 'বিভাব' নাটকে চূড়ান্ত আঘাত করেছেন নাট্যকার।
বিভাব নাটকে শম্ভু মিত্রের নাট্যভাবনার যে প্রকাশ ঘটেছে তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকে নাট্যরীতির যে নতুনত্ব প্রকাশ পেয়েছে তা আলােচনা করাে।
একাঙ্ক নাটক হিসেবে বিভাব কতখানি সার্থক তা আলােচনা করাে।
বিভাব নাটকটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করাে।
বিভাব নাটকটির নামকরণ কতখানি তাৎপর্যপূর্ণ, আলােচনা করাে।
আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই..- বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে বক্তা মন্তব্যটি করেছেন আলােচনা করাে।
আমিও তাে মানুষ, কালীনাথ।—প্রসঙ্গ উল্লেখ করাে। বক্তা কেন এরূপ মন্তব্য করেছেন?