"সব কিছুই বদলে গেছে।” -লেখক যে যে বদল লক্ষ করেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখ।
কলকাতার রূপ বদল: লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের বর্ণনা অনুযায়ী, স্বাধীনতা সংগ্রামের উত্তাল দিনগুলিতে সেই কিশাের বেলাতেই লেখক তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। জলখাবারের পয়সা বাঁচিয়ে কেনা খদ্দরের টুপি মাথায় দিয়ে কংগ্রেস অফিসের সামনে এসে দাঁড়াতেন। বিপ্লবীদের গ্রেপ্তার, 'বন্দেমাতরম' ধ্বনি ইত্যাদি তাকে ছুঁয়ে যেত গভীরভাবে। মিটিং- পিকেটিং-পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদ ইত্যাদি সব উত্তেজনাকেই শিরায় শিরায় উপলব্ধি করেছিলেন লেখক সেই অল্প বয়সেই। কিন্তু তিনমাসের দীর্ঘ অসুস্থতা লেখককে বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। বাসাবদলের কারণে তিনি চলে আসেন বউবাজারে ফিরিঙ্গি পাড়ায়। যে কাকিমা একসময়ে জেলে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি এখন ঘােরতর সংসারী। পালটে গিয়েছে তার চেনা শহরও। পার্কে মিটিং, বড়ােবাজারে পিকেটিং কোনাে কিছুই নেই। অদৃশ্য হয়ে গেছে 'ফেনিয়ে-ওঠা জনসমুদ্র'। এ কলকাতা একেবারে শান্ত নিরীহ। মনেই হয় না কোনােদিন সামনের বড়াে রাস্তা বন্দেমাতরম শব্দে মুখর হয়েছিল। প্রতিবাদী মানুষের বদলে রাস্তায় চলেছে 'ব্লানমুখ অফিসযাত্রীর অফুরন্ত মিছিল'। আবগারি পুলিশ মদের জালা ধরে নিয়ে আসে, দু-বগলে ক্রাচ নিয়ে ঘােরে এক খোঁড়া ইনফর্মার। ইহুদিদের পরবে রুটি বিলি হয়, গির্জায় বসে রবিবারের স্কুল। ট্রাম ও বাসের উপস্থিতির সাথে সাথে অজস্র মানুষের ভিড় রাস্তায়। কিন্তু লেখকের তাও ফাকা ফাকা লাগে। কারণ, এ কলকাতা প্রতিবাদহীন, শান্ত, নিস্তরঙ্গ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতায় যেসব ঘটনা ঘটেছিল, কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে তার বর্ণনা দাও।
সে-রাত্তিরে গুলি চলল মেছােবাজারের মােড়ে।—সেদিনের ঘটনাবলি বর্ণনা করে গুলি চলার কারণ লেখাে।
বিকেলবেলায় পথ-চলতি লােকের ভিড়ে মিশে যাই—মিশে গিয়ে লেখক কী দেখেন?
ছেলেটা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল। -মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা কী করেছিল? এরপর কী ঘটেছিল?
কিন্তু ইংরেজের টনক নড়ে গিয়েছিল।—যে কারণে লেখক এ কথা বলেছেন নিজের ভাষায় লেখাে।
কলকাতার ইটের পাঁজরে লুকিয়ে আছে ভালােবাসার ঝরনা।—কলের কলকাতা অবলম্বনে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।
মেঘের গায়ে জেলখানা। বিশ্বাস হয় না? দেখে এসাে বক্সায়।—লেখকের এই বক্সায় যাত্রাপথের বর্ণনা দাও।