অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী বাক্যগঠন—এই দুই প্রকার গঠনগত প্রকৃতি পর্যালােচনা করাে।

অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী বাক্যগঠন

বাক্যের গঠন (construction)-এর প্রকৃতি দুই প্রকার(১) অন্তর্মুখী গঠন বা অন্তঃকেন্দ্রিক গঠন (Endocentric Construction) এবং (২) বহির্মুখী গঠন বা বহিঃকেন্দ্রিক গঠন (Exocentric Construction)।


অন্তর্মুখী সংগঠন : যে গঠন (অর্থসম্বন্ধযুক্ত পদসমষ্টি)-এর অন্তর্গত এক বা একাধিক পদ সেই গােটা গঠনটির পরিবর্তে বসলেও বাক্যটি ব্যাকরণগতভাবে নির্ভুল হয়, সেই গঠনকে বলে অন্তর্মুখী গঠন। যেমন- "লাল বাড়িতে আমি থাকি।" এই বাক্যে 'লাল বাড়িতে' একটি গঠন। এই গঠন-এর অন্তর্গত 'বাড়িতে' পদটি 'লাল বাড়িতে'-র বদলে যদি ব্যবহার করি, তবে বাক্যটি কিন্তু ব্যাকরণগতভাবে ভুল হবে না। আবার, 'লাল বাড়িতে' গঠন-এর ‘লাল’—এই বর্ধক (subordinate) অংশ-এর পরিবর্তে 'লাল পাকা' অংশও ব্যবহার করা যায় ব্যাকরণসম্মতভাবে তাই অন্তর্মুখী সংগঠন জোট গঠন করে। বাক্যতাত্ত্বিকভাবে বর্ধক-সহ মাথা (Head) (যেমন বাড়িতে) এবং কেবলমাত্র মাথা-এর গুরুত্ব এক। অন্তর্মুখী সংগঠনের উদাহরণ হল বিশেষ্যজোট, ক্রিয়াজোট।


অন্তর্মুখী সংগঠক দুই প্রকার - (১) অধীনস্থ বা অধীনতাজ্ঞাপক এবং (২) যৌগিক বা সমানাধিকারজ্ঞাপক। যখন কোনাে অন্তর্মুখী গঠন-এর অন্তর্গত উপাদানগুলির একটি প্রধান, অন্যটি তার অধীনস্থ উপাদান, তখন তাকে বলে অধীনস্থ গঠন। যেমন—“লাল বাড়িতে’ হল অধীনস্থ গঠন। এক্ষেত্রে একটি মাত্র বর্ধক সহ থাকে। আবার, যখন কোনাে অন্তর্মুখী গঠন-এর অন্তর্গত উপাদানগুলি সমগুরুত্বসম্পন্ন, তখন তা যৌগিক গঠন। এই গঠনে একাধিক মাথা থাকে। যেমন—“শচীন ও সৌরভ ওপেন করছে।” বাক্যের 'শচীন ও সৌরভ’ হল যৌগিক গঠন।


বহির্মুখী সংগঠন : যে গঠন-এর অন্তর্গত এক বা একাধিক পদ সেই গােটা গঠনটির পরিবর্তে বসলে বাক্যটি ব্যাকরণগতভাবে ভুল বাক্য হয়ে যায়, তাকে বলে বহির্মুখী গঠন। যেমন- "আমি যাব।" এই বাক্যটি অথবা "বাড়িটার সামনে আমি থাকি” বাক্যের 'বাড়িটার সামনে' গঠনটি। বাক্যটিতে দুটি মাথা থাকলেও গঠনটিতে মাথা 'বাড়িটার’ নয়, 'সামনে'। এই দুই ক্ষেত্রেই কোনাে পরিবর্তন ঘটালে বাক্য দুটি অশুদ্ধ বাক্য হয়ে পড়বে। দুই পদের সরল বাক্য বা অনুসর্গ জোট বহির্মুখী গঠন-এর উদাহরণ।


বিশেষ্যজোট, অনুসর্গজোট, ক্রিয়াজোট এবং ক্রিয়াবিশেষণজোট সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে? শব্দার্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়টি সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি আলােচনা করাে এবং এই তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা লেখাে। 

অথবা, শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি আলােচনা করাে। 

অথবা, শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করাে। 


শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বটি আলােচনা করাে। 


শব্দার্থের বিষয়মূলক তত্ত্বটি আলােচনা করাে। 


সমার্থকতা বিষয়টি নিয়ে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


বিপরীতার্থকতা ও ব্যাপকার্থকতা সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


থিসরাস-এর বিস্তৃত বর্ণনা দাও। 


বাক্যতত্ত্বের প্রয়ােগতত্ত্ব বিষয়টি আলােচনা করাে। 


শব্দের অর্থ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান তাত্ত্বিক ধারণার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 


অর্থগত দিক থেকে শব্দের পারস্পরিক সম্পর্কের বিভিন্নতা নির্দেশ করাে। 

অথবা, উদাহরণসহ যে-কোনাে দুটি বিভাগের পরিচয় দাও: সমার্থকতা, বিপরীতার্থকতা, ব্যাপকার্থকতা। 


শব্দার্থ পরিবর্তনের ধারা ক-টি ভাগে বিভক্ত ও কী কী? যে-কোনাে একটি ভাগ উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও। 

অথবা, শব্দার্থের রূপান্তর বা সংশ্লেষ বলতে কী বােঝ ? উদাহরণ দাও।