বাংলা বাক্যের ভঙ্গিগত শ্রেণিবিভাগ করে তাদের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করাে। বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগ

ভঙ্গিগত দিক থেকে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ

আমরা আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করার সময় নানা ধরনের বাক্য উচ্চারণ করি। নানাধরনের মানে নানা ভঙ্গিতে বা নানা অর্থে সেই বাক্যগুলিকে ব্যবহার করি। দরকারমতাে আমাদের বলার ধরন বা ভঙ্গি বা অর্থও বদলে যায়। যেমন, কখনও আমরা প্রশ্ন করি, কখনও বিস্ময় প্রকাশ করি বা উচ্ছ্বাস দেখাই, আবার কখনও আদেশ ও নির্দেশের ভঙ্গিতে কথা বলি। আমাদের মনের ভাব আমাদের বাক্যের ভঙ্গির উপরই নির্ভর করে, আর সেদিক থেকে বাক্যকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। নীচে সংক্ষেপে এগুলির সম্পর্কে আলােচনা করা হল—


[১] নির্দেশক বা উক্তিবাচক বাক্য : যে বাক্যের দ্বারা কোনাে বিষয় বর্ণনা করা হয়, অথবা কোনাে তথ্য বা সংবাদ স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়, তাকে বলা হয় নির্দেশক বা উক্তিবাচক বাক্য।

বৈশিষ্ট্য : এই বাক্যের শেষে অবশ্যই পূর্ণচ্ছেদ বা দাঁড়ি চিহ্ন (।) থাকবে। এই ধরনের বাক্যের কোনােটা সদর্থক, আবার কোনােটা নঞর্থক হতে পারে। যেমন—

সদর্থক বাক্য : সত্যবাদীকে সকলেই বিশ্বাস করে।

নঞর্থক বাক্য : আমার শরীরটা আজ ভালাে নেই।


[২] প্রশ্নবাচক বাক্য : যে বাক্যের সাহায্যে আমরা কোনাে কিছু জানতে চাই বা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি, তাই প্রশ্নবাচক বাক্য।


বৈশিষ্ট্য : প্রশ্নবাচক বাক্যের প্রাথমিক শর্ত হল প্রশ্নচিহ্ন (?)। সাধারণভাবে বাক্যের শেষে প্রশ্নচিহ্ন দেখেই বােঝা যায় যে, বাক্যটিতে প্রশ্ন করা হয়েছে।


দ্বিতীয়ত, প্রশ্নবাক্যে প্রশ্নসূচক সর্বনাম বা অব্যয় বা বিশেষণ থাকে। কী- কি-কেন-কোথায়-কোন্-কখন—এইসব শব্দ ব্যবহারে বাক্যকে প্রশ্নবাচক করে তােলা হয়। যেমন—“তােমার নাম কী?”

তবে কখনাে কখনাে প্রশ্নচিহ্ন ছাড়াই প্রশ্নবাচক বাক্য তৈরি হতে পারে। একে বলা হয় ছদ্ম প্রশ্নবাচক বাক্য। যেমন—

"সবই তাে শেষ করেছ। এখন আমাকে বলে কী লাভ।"


প্রশ্নবাচক বাক্য দুই প্রকার—(১) ই্যানা প্রশ্নবাচক বাক্য (যেমন—তুমি যাবে কি? একেই কি বলে সভ্যতা?) (২) বস্তুগত প্রশ্নবাচক বাক্য (যেমন—তুমি কী খাবে? কোথায় যাচ্ছ এখন?)


[৩] বিস্ময়বাচক বা উচ্ছবাসবাচক বাক্য : যে বাক্যের দ্বারা আমরা আমাদের মনের বিস্ময়, রাগ, দুঃখ, অভিমান, ভালােলাগা, মন্দলাগা ইত্যাদি আবেগ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করি, তাকেই বিস্ময়বাচক বা উচ্ছাসবাচক বাক্য বলে।


বৈশিষ্ট্য : অনুভূতি প্রকাশ অনুযায়ী এই ধরনের বাক্য বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন—

ইচ্ছাবাচক বাক্য : ইস। যদি পাখির মতাে হতে পারতাম।

আবেগবাচক বাক্য : মরি মরি! এ কী অপরূপ দৃশ্য।

সন্দেহবাচক বাক্য : হয়তাে এবার গরমের ছুটিতে বেড়াতে যাব।

শর্তবাচক বাক্য : মন দিয়ে না পড়লে ভালাে ফল হয় না।


[৪] অনুজ্ঞাবাচক বাক্য : যে বাক্যে শ্রোতাকে আদেশ, হুকুম, উপদেশ, অনুরােধ, অনুনয়, নির্দেশ ইত্যাদির কোনাে-একটি করা হয়, তাকে বলে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য।


বৈশিষ্ট্য : এই ধরনের বাক্যের অনুজ্ঞামূলক ক্রিয়াটি শুধুমাত্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কালের জন্যই প্রযােজ্য। আর সেক্ষেত্রে অনুজ্ঞামূলক ক্রিয়ার কর্তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মধ্যম পুরুষ হয়। যেমন—তুমি, তুই, আপনি, তােমরা ইত্যাদি। কিছুক্ষেত্রে প্রথম পুরুষও অনুজ্ঞাবাচক বাক্যের কর্তা হয়। যেমন সে, তারা, কেউ কেউ ইত্যাদি। যাই হােক, অনুজ্ঞামূলক ক্রিয়ার কালের উপর নির্ভর করেই অনুজ্ঞাবাচক বাক্য দু-ধরনের হয়। যেমন—

বর্তমান অনুজ্ঞা : তুমি একটা গান করাে তাে।

ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা : কাল একবার কলকাতায় এসাে।


বাংলা বাক্যের প্রধান দুটি অংশ এবং তাদের বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যাখ্যা করাে। 


গঠন অনুসারে বাক্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও।  


শব্দার্থের প্রসার ও শব্দার্থের রূপান্তর বলতে কী বােঝ? 

অথবা, শব্দার্থ-পরিবর্তনের ধারাগুলি উল্লেখ করাে। যে-কোনাে দুটি ধারার উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 


বাক্যতত্ত্ব কাকে বলে? এই ক্ষেত্রে ফার্দিনান্দ (ফের্দিনা) দ্য সােস্যুর (Ferdinand De Saussure)-এর অবদান সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


গঠনগত দিক থেকে বাক্য কত প্রকারের? যে-কোনাে এক প্রকারের উদাহরণসহ পরিচয় দাও। 


বাক্যের অব্যবহিত উপাদান বিশ্লেষণ বলতে কী বােঝ? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও। 


অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী বাক্যগঠন—এই দুই প্রকার গঠনগত প্রকৃতি পর্যালােচনা করাে। 


বিশেষ্যজোট, অনুসর্গজোট, ক্রিয়াজোট এবং ক্রিয়াবিশেষণজোট সম্পর্কে আলােচনা করাে। 


শব্দার্থতত্ত্ব কাকে বলে? শব্দার্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়টি সংক্ষেপে আলােচনা করাে। 


শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি আলােচনা করাে এবং এই তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা লেখাে। 

অথবা, শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি আলােচনা করাে। 

অথবা, শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করাে। 


শব্দার্থের সত্যসাপেক্ষ তত্ত্বটি আলােচনা করাে। 


শব্দার্থের বিষয়মূলক তত্ত্বটি আলােচনা করাে।