কলকাতায় আসার পর 'কলের কলকাতা' রচনার লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের কলকাতা একেবারেই ভালাে লাগেনি কেন?

লেখকের কলকাতা ভালাে না লাগার কারণ: লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় শৈশব জীবন গ্রামবাংলায় কাটিয়ে কলকাতায় আসেন। বালক বয়সে কলকাতায় এসে লেখক দেখতে পান যে, চারদিকে প্যাকিং বাক্সের মতাে গায়ে ঠাসাঠাসি অসংখ্য বাড়ি। রােদুরের দেখা তেমন পাওয়া যায় না গলির মধ্যে। সকালবেলায় কলের জল পড়ার এবং বাসন মাজার শব্দে লেখকের ঘুম ভাঙলে কাকের পরিত্রাহি ডাক শুনে তিনি বুঝতে পারেন যে, সকাল হয়েছে। গ্রামবাংলায় খােলা আকাশের নীচে শৈশব কাটানাে লেখক এখানে আকাশের দেখা পান না। গলির মােড়ে গেলে দেখা যায় ফুটো পয়সার মতাে আকাশ। তাও দু-দণ্ড দাঁড়িয়ে দেখার উপায় নেই। পেছন থেকে মানুষের ভিড় তাঁকে ঠেলে নিয়ে যায়। এই শহরের কেউ কারও খবরও নেয় না। "দম-দেওয়া কলের পুতুলের মতাে যে-মানুষগুলাে সকাল বেলায় রাস্তা দিয়ে হনহনিয়ে হেঁটে গেল,” বিকেলবেলায় তারাই কলকারখানার কাজ সেরে কালিঝুলি মেখে শ্রান্ত শরীরে টলতে টলতে বাড়ি ফেরে।


আর উলটোদিকে, লেখকদের গ্রামের পশ্চিমদিকের আকাশে অস্তমিত সূর্যের মনভেভালানাে সিঁদুরের টিপের মতাে আভা লেখকের মনকে লুঠ করে নিত। আর সেখানকার ইছামতী নদীর তাে তুলনাই নেই। গ্রামবাংলায় শৈশব কাটিয়ে সদ্য কলকাতায় আসা বালক লেখকের চোখে তখন ভেসে বেড়ায় ডুগডুগির হাট, দুধপাতলার মাঠ, পশ্চিম আকাশে অস্তমিত সূর্যের লাল আভা, গাঁয়ের ইছামতী নদী। লেখকের কাছে সেই নদীর সাথে কলকাতার সুতাের মতাে কলের জলের কোনাে তুলনাই হয় না। তাই তার মনে হয়েছিল যে, 'খােলা মাঠ আর নীল চোখের মণির মতাে আকাশ' আছে যে গ্রামবাংলায় তার কাছে কলকাতা শহর কিছু নয়।


কলকাতায় এসে লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়রা যে পাড়ার ভাড়াবাড়িতে প্রথম এসে উঠেছিলেন, কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে সেই পাড়াটির বর্ণনা দাও। 


খালি মাঠে সব সময় ভিড়।—কলের কলকাতা রচনার লেখক খালি মাঠের ভিড়ে যেসব দৃশ্য দেখেছিলেন, তার বর্ণনা দাও। 


হঠাৎ একদিন খেপে উঠল কলের কলকাতা।—কলকাতার খেপে ওঠা বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? কলকাতার খেপে ওঠা-র ফল কী হয়েছিল?


তবু ভালাে এই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা। -এই রাস্তার বিবরণ দাও। 


পুলিশকে মােটে কেয়ার করে না হে!—কে কেয়ার করে না? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? 


ইংরেজের জেলখানায় হেঁট হয়ে ঢুকতে যা রাগ হচ্ছিল। -এখানে কোন জেলখানার কথা বলা হয়েছে? লেখকের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও। 

অথবা, ইংরেজদের জেলখানায় হেঁট হয়ে ঢুকতে যা রাগ হচ্ছিল। -লেখকের জেলখানায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও। 


কলের কলকাতা রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় তিন মাস অসুখে অচেতন থাকার পর সেরে উঠে কলকাতার কোন্ পরিবর্তন দেখেছিলেন? 


কলের কলকাতা রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়দের ভাড়াবাড়িতে আসা সরকারি উকিলের কথাগুলি বর্ণনা করে তার সম্বন্ধে লেখকের মূল্যায়ন পর্যালােচনা করাে। 


চেয়ারের ওপর যিনি বসে আছেন, তাঁকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না।—চেয়ারের ওপর কে বসেছিলেন? তাকে দেখে লেখক কেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না? 


অমনি মনের মধ্যে গুনগুনিয়ে উঠল মার কাছে শেখা গান- মার কাছে শেখা গানটি কী? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন লেখক? 


চেয়ারের ওপর যিনি বসে আছেন, তাকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না।—চেয়ারের ওপর কে বসেছিলেন? লেখক তাকে কোথায় দেখেছিলেন? লেখকের এই স্থান দেখার অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে লেখাে। 


সব কিছুই বদলে গেছে। -লেখক যে যে বদল লক্ষ করেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখ।