“খালি মাঠে সব সময় ভিড়।”—কলের কলকাতা রচনার লেখক খালি মাঠের ভিড়ে যেসব দৃশ্য দেখেছিলেন, তার বর্ণনা দাও।
খালি মাঠের ভিড়ের দৃশ্যের বর্ণনা: সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের 'কলের কলকাতা'-য় আমরা দেখি যে, একসময় বউবাজার থেকে এসপ্ল্যানেড অবধি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দু-পাশে ছিল ফাঁকা জমি। সেই খালি মাঠে সবসময় ভিড় লেগে থাকত। সেখানে ঘুরতে ঘুরতে একদিন লেখক দেখেন, কাঁধ পর্যন্ত বাবরি চুলের একজন লােক কানে মাকড়ি পরে মন্ত্র আওড়াতে আওড়াতে ম্যাজিক দেখাচ্ছে। তার শুকনাে মুখ দেখলেই মনে হয়, সারাদিন সে কিছু খায়নি। লােকটির ম্যাজিক শেষ হতেই পয়সা দেওয়ার ভয়ে দর্শকরা দ্রুত সরে পড়ে। মাটিতে পড়ে থাকা দু-চার পয়সা কুড়ােতে কুড়ােতে অভিশাপ দিতে থাকে জাদুকর।
পকেটে পয়সা না থাকায় বালক লেখক সেখান থেকে পালিয়ে যান পাশের ভিড়ে। সেখানে গায়ে লাল আলখাল্লা, গলায় হাড়ের মালা আর চোখে একদিক সুতাে দিয়ে বাঁধা নিকেলের ফ্রেমের মােটা চশমা পরে একজন দাড়িওয়ালা হাকিম বড়াে বড়াে অসুখের ওষুধ বেচছে। তার সামনে একগুচ্ছ গাছগাছড়া, কাঁচা ছাল-চামড়া, হাড়, নীলগাইয়ের চামর এবং কাচের বয়েমে ভরা জোঁক ও বিছে। এক জায়গায় একজন লােক কানের খােল পরিষ্কার করতে বসেছে আর পাশেই অন্য একজন ভাঙা কাচ জোড়া লাগাবার আশ্চর্য কলাকৌশল প্রদর্শন করছে। একজন চড়ুই পাখি নিয়ে বসে মানুষের ভাগ্যগণনা করছে। এভাবেই 'বিচিত্র ব্যাপার চলেছে লম্বা রাস্তাটা জুড়ে'।
তবু ভালাে এই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা। -এই রাস্তার বিবরণ দাও।
পুলিশকে মােটে কেয়ার করে না হে!—কে কেয়ার করে না? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি?
সব কিছুই বদলে গেছে। -লেখক যে যে বদল লক্ষ করেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতায় যেসব ঘটনা ঘটেছিল, কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে তার বর্ণনা দাও।
সে-রাত্তিরে গুলি চলল মেছােবাজারের মােড়ে।—সেদিনের ঘটনাবলি বর্ণনা করে গুলি চলার কারণ লেখাে।