"পুলিশকে মােটে কেয়ার করে না হে!"—কে কেয়ার করে না? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি?
উদ্দিষ্ট ব্যক্তি: সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের 'কলের কলকাতা' রচনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুলিশকে কেয়ার করতেন না বালক বয়সে স্বয়ং লেখক।
প্রসঙ্গ : লেখকরা কলকাতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই হঠাৎ শহর জুড়ে শুরু হয় চাঞ্চল্য। বড়াে রাস্তার মতাে শান্ত গলিগুলিও অশান্ত হয়ে ওঠে। গােলপুকুরে, গােলদিঘিতে, রাস্তার মােড়ে মােড়ে, পার্কে চলতে থাকে মিটিং, স্কুলে স্কুলে পিকেটিং। পাড়ার ছেলেরা লেখককে আর বাঙাল বলে খেপায় না, বরং কাধে হাত দিয়ে মিটিং-এ যেতে অনুরােধ করে। ক্রমে সবাই এই উত্তেজনার অংশীদার হয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে স্বাধীনতালাভের জন্য। সারা শহরজুড়ে জ্বলতে থাকে আগুন। সেই আগুনে আহুতি দেওয়া হয় বিলিতি কাপড়। পাড়ায় পাড়ায় দেশপ্রেমীরা দল বেঁধে আওয়াজ করে, 'বিলিতি কাপড় পুড়িয়ে ফেলাে’। সেই সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে দু-পাশের বাড়ি থেকে ছুড়ে দেওয়া হয় গুচ্ছ গুচ্ছ বিলিতি কাপড়।
এইসময় দিনগুলি নেশাগ্রস্তের মতাে কাটতে থাকে বালক লেখকের। জলখাবারের পয়সা বাঁচিয়ে শিয়ালদহ মােড় থেকে চার আনা পয়সার খাদির টুপি কেনেন তিনি। সেই টুপি মাথায় দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে দেখে লােকজন ভাবে যে, ছােট্ট ছেলেটির বুকের পাটা। এমন যে পুলিশকেও পাত্তা দেয় না। তাদের এই ভাবনার কথা চিন্তা করে বালক লেখকের বুকের ছাতি আরও চওড়া হয়ে যায়।
সব কিছুই বদলে গেছে। -লেখক যে যে বদল লক্ষ করেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতায় যেসব ঘটনা ঘটেছিল, কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে তার বর্ণনা দাও।
সে-রাত্তিরে গুলি চলল মেছােবাজারের মােড়ে।—সেদিনের ঘটনাবলি বর্ণনা করে গুলি চলার কারণ লেখাে।
বিকেলবেলায় পথ-চলতি লােকের ভিড়ে মিশে যাই—মিশে গিয়ে লেখক কী দেখেন?
ছেলেটা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল। -মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা কী করেছিল? এরপর কী ঘটেছিল?