'কলের কলকাতা' রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়দের ভাড়াবাড়িতে আসা সরকারি উকিলের কথাগুলি বর্ণনা করে তার সম্বন্ধে লেখকের মূল্যায়ন পর্যালােচনা করাে।

সরকারি উকিলের কথার বর্ণনা: চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের মামলা চলাকালীন একদিন এক সরকারি উকিল 'কলের কলকাতা' রচনার লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের বাড়িতে আসেন। বৈঠকখানায় বসে লেখকের বাবার কাছে ভদ্রলােক এমন মগ্ন হয়ে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের গল্প করছিলেন, যেন তিনি সূর্য সেনেরই সহযােগী। তিনি বিপ্লবী গণেশ ঘােষের লেখা কবিতা সুর করে পড়ে শােনান, বিপ্লবী কল্পনা দত্তর ডায়ারি থেকে পাতার পর পাতা মুখস্থ বলে যান। তার কথায় মনে হয়, পাহাড়তলি, ধলঘাট, কালারপােল। প্রভৃতি স্থানের কাহিনি 'যেন কুরুক্ষেত্রের এক একটা উপাখ্যান'। আর সূর্য সেন, অম্বিকা চক্রবর্তী, অনন্ত সিংহ, গণেশ ঘােষ, কল্পনা দত্ত, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রত্যেকেই যেন কুরুক্ষেত্রের এক-একজন মহারথী। পর্দার আড়াল থেকে অসাধারণ বাচনভঙ্গির অধিকারী সেই সরকারি আইনজীবীর কথা শুনে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেতেন লেখক আর তার দাদা।


উকিলের প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে লেখকের মূল্যায়ন : খাঁটি দেশপ্রেমিকের মতােই বিপ্লবীদের গল্প বললেও আসলে সেই উকিল ছিলেন একজন দেশদ্রোহী। কারণ এতক্ষণ যাদের জন্য তার দরদ উথলে উঠছিল, তাদের ফাঁসিতে লটকানাের জন্যই তাে তিনি উঠে পড়ে লাগবেন এরপর। তাই লােকটি চলে যাওয়ার পর রাগে গজগজ করতে থাকেন লেখক। এদের মানুষরূপে ভাবতেই তার অসুবিধা হয়।


চেয়ারের ওপর যিনি বসে আছেন, তাঁকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না।—চেয়ারের ওপর কে বসেছিলেন? তাকে দেখে লেখক কেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না? 


অমনি মনের মধ্যে গুনগুনিয়ে উঠল মার কাছে শেখা গান- মার কাছে শেখা গানটি কী? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন লেখক? 


চেয়ারের ওপর যিনি বসে আছেন, তাকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না।—চেয়ারের ওপর কে বসেছিলেন? লেখক তাকে কোথায় দেখেছিলেন? লেখকের এই স্থান দেখার অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে লেখাে। 


সব কিছুই বদলে গেছে। -লেখক যে যে বদল লক্ষ করেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখ। 


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতায় যেসব ঘটনা ঘটেছিল, কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে তার বর্ণনা দাও। 


সে-রাত্তিরে গুলি চলল মেছােবাজারের মােড়ে।—সেদিনের ঘটনাবলি বর্ণনা করে গুলি চলার কারণ লেখাে। 


বিকেলবেলায় পথ-চলতি লােকের ভিড়ে মিশে যাই—মিশে গিয়ে লেখক কী দেখেন? 


ছেলেটা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল। -মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা কী করেছিল? এরপর কী ঘটেছিল? 


সারা কলকাতা যখন আন্দোলনে উত্তাল, তখন কার্জন পার্কের সামনে কী কী ঘটনা ঘটেছিল, তা সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে লেখাে। 


সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে গুলিবিদ্ধ ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত ভদ্রলােক এবং কদম রসুলের পরিচয় দাও। 


কিন্তু ইংরেজের টনক নড়ে গিয়েছিল।—যে কারণে লেখক এ কথা বলেছেন নিজের ভাষায় লেখাে। 


কলকাতার ইটের পাঁজরে লুকিয়ে আছে ভালােবাসার ঝরনা।—কলের কলকাতা অবলম্বনে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করাে।