'কলের কলকাতা' রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় তিন মাস অসুখে অচেতন থাকার পর সেরে উঠে কলকাতার কোন্ পরিবর্তন দেখেছিলেন?
কলকাতার পরিবর্তিত রূপ: স্বাধীনতা আন্দোলনে কলকাতা যখন উত্তাল, তখন তিন মাস অসুখে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন 'কলের কলকাতা' রচনার লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়। সেসময় তারা ফিরিঙ্গি পাড়ার এক ভাড়াবাড়িতে এসে উঠেছিলেন। রােগ থেকে সেরে উঠে রাস্তায় বেরিয়ে লেখক কলকাতার এক নতুন চেহারা দেখতে পান। আন্দোলন ততদিনে থিতিয়ে গেছে। কোথাও প্রতিবাদী জনসমুদ্র নেই, পার্কে মিটিং, বড়ােবাজারে পিকেটিং নেই। মাঝেমধ্যে রাস্তায় চোখে পড়ে জাল দেওয়া কয়েদি ভ্যান। সামনের বড়াে রাস্তায় বন্দেমাতরম' ধ্বনি আর শােনা যায় না। বাস এবং ট্রাম পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলে। মলিনমুখে অফিসযাত্রীরা এগিয়ে চলে। কোথাও আবেগ-উত্তেজনার কোনাে ছিটেফোঁটা নেই।
চিনা পাড়ায় আবগারি বিভাগের পুলিশকে মদের জালা সিজ করে নিয়ে আসতে দেখেন লেখক। সঙ্গে থাকে ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটা ইনফর্মার। চিনা পাড়ার জুতাের দোকানের মালিক চিংথাই ধরা পড়া চোলাই বিক্রেতাদের জামিনদার হয়। কখনও পারসি চোখের ডাক্তারের চশমার দোকানে বসে রাস্তায় মােটরের নম্বর গােনেন লেখক, আবার কখনও ইহুদিদের উৎসব দেখেন। রবিবারে গির্জার সামনে দাঁড়িয়ে তিনি খ্রিস্টসংগীত শােনেন আর পেরি সাহেবের সাঙ্গোপাঙ্গদের বিলি করতে দেখেন লাল মলাটের পাতলা বই মথিলিখিত সুসমাচার। চারদিকে এত লােক থাকা সত্ত্বেও শহরটাকে ফাকা ফাকা লাগে লেখকের।
সব কিছুই বদলে গেছে। -লেখক যে যে বদল লক্ষ করেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতায় যেসব ঘটনা ঘটেছিল, কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে তার বর্ণনা দাও।
সে-রাত্তিরে গুলি চলল মেছােবাজারের মােড়ে।—সেদিনের ঘটনাবলি বর্ণনা করে গুলি চলার কারণ লেখাে।
বিকেলবেলায় পথ-চলতি লােকের ভিড়ে মিশে যাই—মিশে গিয়ে লেখক কী দেখেন?
ছেলেটা মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গেল। -মুখ থুবড়ে পড়ে যাওয়ার আগে ছেলেটা কী করেছিল? এরপর কী ঘটেছিল?
কিন্তু ইংরেজের টনক নড়ে গিয়েছিল।—যে কারণে লেখক এ কথা বলেছেন নিজের ভাষায় লেখাে।