হঠাৎ একদিন খেপে উঠল কলের কলকাতা।”—'কলকাতার খেপে ওঠা' বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? কলকাতার 'খেপে ওঠা'-র ফল কী হয়েছিল?

'কলকাতার খেপে ওঠা': সুভাষ মুখােপাধ্যায়ের আমার বাংলা গ্রন্থের অন্তর্গত 'কলের কলকাতা' রচনা থেকে উদ্ধৃতিটি সংকলিত হয়েছে। বিংশ শতাব্দীর দুই এবং তিনের দশকে অসহযােগ আন্দোলন, আইন-অমান্য আন্দোলন, বিলিতি দ্রব্য বর্জন আন্দোলন-ইত্যাদি নানা স্বদেশি আন্দোলনে সমগ্র দেশ উত্তাল হয়েছিল। এই 'কলকাতার ক্ষেপে ওঠা’ বলতে লেখক ভারতের এই স্বাধীনতা আন্দোলনে আপামর কলকাতাবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণকেই বুঝিয়েছেন।


'খেপে ওঠা'-র ফল : স্বাধীনতা আন্দোলনে শুধু কলকাতার রাজপথগুলিই নয়, শান্ত গলিগুলিও অশান্ত হয়ে ওঠে। কলকাতার সর্বত্র রাস্তার মােড়ে মােড়ে মিটিং চলতে থাকে। স্কুল কলেজে শুরু হয় পিকেটিং। ঘরে বসে না থেকে মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এরপর সারা শহর জুড়ে আগুন জ্বলতে থাকে, আর সেই আগুনে বিলিতি কাপড় পােড়ানাে হতে থাকে। দলে দলে মানুষ পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে বিলিতি কাপড় পােড়ানাের আহ্বান জানাতে থাকে। দু-পাশের বাড়ি থেকে তাদের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেওয়া হতে থাকে বিলিতি কাপড়। রােয়াকে বসে-থাকা বৃদ্ধের দল গল্পগুজবের সঙ্গে সঙ্গে তকলি ঘুরিয়ে সুতাে কেটে চলেন। খদ্দরের টুপি পরার হিড়িক লেগে যায়। যেখানে-সেখানে ধ্বনিত হতে থাকে বন্দেমাতরম ধ্বনি। লাল-পাগড়িপরা, ইংরেজ সরকারের পুলিশের সঙ্গে জনসাধারণের সংঘর্ষ বেধে যায়। কোথাও কোথাও চলে পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ। এসবই ছিল কলকাতার ক্ষেপে ওঠা’র ফলশ্রুতি।


তবু ভালাে এই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের রাস্তা। -এই রাস্তার বিবরণ দাও। 


পুলিশকে মােটে কেয়ার করে না হে!—কে কেয়ার করে না? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি? 


ইংরেজের জেলখানায় হেঁট হয়ে ঢুকতে যা রাগ হচ্ছিল। -এখানে কোন জেলখানার কথা বলা হয়েছে? লেখকের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও। 

অথবা, ইংরেজদের জেলখানায় হেঁট হয়ে ঢুকতে যা রাগ হচ্ছিল। -লেখকের জেলখানায় ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দাও। 


কলের কলকাতা রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায় তিন মাস অসুখে অচেতন থাকার পর সেরে উঠে কলকাতার কোন্ পরিবর্তন দেখেছিলেন? 


কলের কলকাতা রচনায় লেখক সুভাষ মুখােপাধ্যায়দের ভাড়াবাড়িতে আসা সরকারি উকিলের কথাগুলি বর্ণনা করে তার সম্বন্ধে লেখকের মূল্যায়ন পর্যালােচনা করাে। 


চেয়ারের ওপর যিনি বসে আছেন, তাঁকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না।—চেয়ারের ওপর কে বসেছিলেন? তাকে দেখে লেখক কেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না? 


অমনি মনের মধ্যে গুনগুনিয়ে উঠল মার কাছে শেখা গান- মার কাছে শেখা গানটি কী? কোন প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন লেখক? 


চেয়ারের ওপর যিনি বসে আছেন, তাকে দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছিল না।—চেয়ারের ওপর কে বসেছিলেন? লেখক তাকে কোথায় দেখেছিলেন? লেখকের এই স্থান দেখার অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে লেখাে। 


সব কিছুই বদলে গেছে। -লেখক যে যে বদল লক্ষ করেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখ। 


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতায় যেসব ঘটনা ঘটেছিল, কলের কলকাতা রচনা অবলম্বন করে তার বর্ণনা দাও। 


সে-রাত্তিরে গুলি চলল মেছােবাজারের মােড়ে।—সেদিনের ঘটনাবলি বর্ণনা করে গুলি চলার কারণ লেখাে। 


বিকেলবেলায় পথ-চলতি লােকের ভিড়ে মিশে যাই—মিশে গিয়ে লেখক কী দেখেন?